ইংরেজি ২য় পত্রে বেশি নম্বর পাওয়ার টিপস
Published: 6th, April 2025 GMT
ইংরেজি ২য় পত্রের ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় রয়েছে Grammar ও Writing part নামের দুটি অংশ। মোট ১৫ টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে দুটি অংশ মিলিয়ে । মনে রেখো, ১৫ প্রশ্নের উত্তর রিখতে হবে ৩ ঘণ্টা বা ১৮০ মিনিটে। একটি প্রশ্নের জন্য সময় পাবে মাত্র ১২ মিনিট। এ পত্র কিভাবে উত্তর লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব তার সঠিক কৌশল জেনে নাও।
Grammar—৬০ নম্বর
Gap filling activities with clues
প্রথম প্রশ্নটি parts of speech–এর ব্যবহারের দক্ষতা নিয়ে হবে । সঠিক মূল্যায়নের জন্য এ অংশে একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে । প্যাসেজে শূন্যস্থান থাকবে ১০টি । প্রশ্নের এ অংশে clue দেওয়া থাকবে। বক্সে মধ্যে প্রশ্নে দেওয়া parts of speech সঠিক ব্যবহার করে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনে Grammar–এর পরিবর্তন করা যাবে। উত্তর a, b, c, d, ….
Gap filling activities without clues
এ প্রশ্নে preposition, article ও parts of speech–এর ব্যবহারের দক্ষতা মূল্যায়ন করা হবে। সেজন্য ১০টি শূন্যস্থানসহ একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে । এ প্রশ্নটি without clues ভিত্তিক । তাই কোনো ধরনের clue দেওয়া থাকবে না। সঠিক preposition, article ও parts of speech ব্যবহার করে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। যেখানে কোনো article ব্যবহৃত হবে না, সেখানে zero article, অর্থাৎ x ব্যবহৃত হবে। শুধু উত্তরগুলো a, b, c, d, ..j আকারে লিখতে হবে। এ প্রশ্নের নম্বর ৫।
Substitution Table
এ প্রশ্নটি Substitution Table নিয়ে হবে । এ অংশে তিনটি column বিশিষ্ট একটি Table দেওয়া থাকবে। প্রথম column এ ছয়টি Subject থাকে, দ্বিতীয় column-এ Verb থাকে এবং তৃতীয় column-এ Sentence–এর বাকি অংশ দেওয়া থাকে। প্রথম column-এ ব্যবহৃত Subject–এর number ও person অনুসারে দ্বিতীয় column-এর Verb ও তৃতীয় column থেকে অতিরিক্ত অংশ নিয়ে একটি অর্থপূর্ণ Sentence তৈরি করবে। এ প্রশ্নটির নম্বর ৫।
Right form of verbs
প্রশ্নপত্রের এ অংশে ১০টি শূন্যস্থানসহ একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। শূন্যস্থান পূরণের জন্য বক্সে clue হিসেবে verb দেওয়া থাকবে। Verb-এর right form ব্যবহার করে শূন্যস্থানগুলো পূরণ করবে। subject-verb-agreement, person ও tense–এর পরিবর্তন ছাড়াও voice–এর passive form–এর ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। প্রয়োজন অনুসারে verb-এর negative form ব্যবহার করবে। বক্সে দেওয়া verb–এর ব্যবহার করতে হবে। এ প্রশ্নটির নম্বর ৫।
Speech Change
এ প্রশ্নটি Speech Change নিয়ে হবে । এ প্রশ্নে একটি text দেওয়া থাকবে। প্রশ্নপত্রে textটি Direct speech (প্রত্যক্ষ উক্তি) এ উল্লেখ থাকে এবং তাকে Indirect speech (পরোক্ষ উক্তি) এ পরিবর্তন করতে হবে। Person, reporting verb ও tense পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকবে। এ প্রশ্নটির নম্বর ৫।
Changing sentences
প্রশ্নপত্রের Changing sentences অংশে ১০টি বাক্যের একটি প্যাসেজ থাকবে। বাক্যগুলোর পাশে ব্রাকেটের ভেতরে কি করতে হবে সেই নির্দেশনা দেওয়া থাকবে । নির্দেশনা অনুসারে অর্থের পরিবর্তন না করে প্রদত্ত বাক্যগুলোকে রূপান্তর করতে হবে। এ প্রশ্নটির নম্বর ১০।
Completing Sentences
প্রশ্নপত্রের এ অংশে ৫টি incomplete sentence দেওয়া থাকবে। এ অংশের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ conditional clause/gerund/infinitive/participles/phrase দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। এ প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় অবশ্যই context ও grammar অনুসরণ করে পূর্ণবাক্যে লিখবে । যে অংশটি তুমি পূরণ করবে, সে অংশের নিচে অবশ্যই দাগ দেবে। এ প্রশ্নের নম্বর ৫।
Use of Suffix and prefix
এ প্রশ্নটি suffix and prefix নিয়ে হবে । একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। প্যাসেজের ভেতর ১০টি শব্দ ব্রাকেটের মধ্যে দেওয়া থাকবে। Root-word বা মূল শব্দের সঙ্গে context অনুসারে উপযুক্ত prefix বা suffix অথবা prefix ও suffix উভয়ই যোগ করে উত্তর লিখতে হবে। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৫।
Making tag questions
এ প্রশ্নটি Tag questions নিয়ে হবে । প্রশ্নপত্রের এ অংশে বিবৃতি, নির্দেশ, অনুরোধ (আবেগ, আনন্দ, বেদনা) ইত্যাদি প্রকাশক সাতটি Sentence দেওয়া থাকবে। প্রতিটি Sentence যথোপযুক্ত tagসহ পুনরায় লিখে উত্তর করতে হবে। উত্তর লেখার সময় অবশ্যই পুরো Sentenceসহ tag লিখতে হবে এবং উত্তরের অংশটি underline করবে। Sentence প্রদত্ত অংশের পরে Comma ব্যবহার করবে। Comma–এর পরে ব্যবহৃত Be Verb ও Auxiliary–এর প্রথম অক্ষরটি অবশ্যই ছোট হাতের অক্ষরে লিখবে। Sentence–এর শেষে চিহ্ন ব্যবহার করতে ভুল করবে না। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৫।
Sentence Connectors
এ প্রশ্নটি হবে Sentence Connectors নিয়ে। এ প্রশ্নে পাঁচটি শূন্যস্থান–সংবলিত একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত প্যাসেজের অর্থ অনুসারে উপযুক্ত connectors ব্যবহার করে উত্তর লিখতে হবে। উত্তরপত্রে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে না। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৫।
Capitals and punctuation marks
এ অংশে একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। যেখানে কোনো punctuation marks বা বিরাম চিহ্ন দেওয়া থাকবে না। উপযুক্ত punctuation marks ও capital letter ব্যবহার করে প্যাসেজটি লিখতে হবে। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৫।
Writing part—৪০ নম্বর
Writing CV with cover letter
প্রশ্নপত্রের এ অংশে কিছু instructions দেওয়া থাকবে। সে অনুসারে একটি cover letterসহ CV লিখতে হবে। উত্তরপত্রের বাঁ পাশের পৃষ্ঠায় cover letter ও ডান পাশের পৃষ্ঠায় CV লিখবে। অবশ্যই instructions অনুযায়ী লিখবে। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৮।
Formal Letter/ emails
প্রশ্নের এ অংশে সাম্প্রতিক বিষয় বা ঘটনা অথবা কোনো সমস্যার ওপর ভিত্তি করে সে সমস্যার সমাধান চেয়ে একটি formal letter লিখতে হবে। তবে formal letter–এর পরিবর্তে emails লিখতে বলা হতে পারে। এ অংশটি যেহেতু সম্পূর্ণ নতুন, তাই এ অংশের জন্য ভালো করে প্রস্তুতি নেবে। এ প্রশ্নেও কোনো বিকল্প প্রশ্ন থাকবে না। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ১০।
Paragraph
প্রশ্নপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট শব্দের মধ্যে সুন্দর একটি Paragraph লেখার সময় অবশ্যই প্রথম Sentence–এর মধ্যে Paragraphটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং পরবর্তী Sentence গুলো দ্বারা প্রথম Sentence-এ প্রদত্ত বিষয়বস্তুকে ব্যাখ্যা করবে। মনে রাখবে, Paragraphটির সর্বশেষ Sentenceটি হবে প্রদত্ত বিষয়ের সারাংশ। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ১০।
Composition Writing
এ প্রশ্নে নির্দিষ্ট শব্দের মধ্যে একটি composition লিখতে হবে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, পারিবারিক কোনো বিষয়, পরিচিত কোনো বিষয়, বস্তু, স্থান, সাম্প্রতিক বিষয় বা ঘটনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার যেকোনো একটি সম্পর্কে একটি composition লিখতে হবে নিজের মতো করে। এ প্রশ্নের নম্বর থাকবে ১২।
লেখক: মো. জসিম উদ্দীন বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এর ব যবহ র ব যবহ র কর প রদত ত ব যবহ ত অন স র র জন য র করত প রথম র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
খবরের খোঁজে দেয়ালে দেয়ালে
জিল্লুর রহমান কয়েক দিন পরই অবসরে যাবেন। বর্তমানে তিনি ঠাকুরগাঁও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। তিন দশক আগে এই চাকরিতে ঢুকেছিলেন সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। তখন হন্যে হয়ে সরকারি চাকরি খুঁজছিলেন। বাংলাদেশে তখন মুঠোফোন এবং চট করে ছবি তোলার ব্যবস্থা ছিল না। বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে সাঁটানো দৈনিক পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে লিখে রাখতে হতো নোটবুকে। নব্বইয়ের দশকে তিন বছর ধরে এই নগরের বিভিন্ন দেয়ালের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে তিনি শুধু চাকরি খুঁজতেন। এভাবেই খোঁজ পেয়েছিলেন বর্তমান চাকরির। সেটা ১৯৯৬ সালের কথা।
ঢাকায় এখনো একইভাবে না কিনেও দৈনিক পত্রিকা পড়া যায়। টানাটানি, ভাগাভাগি না করে যতক্ষণ ইচ্ছা পড়া সম্ভব। এর জন্য যেতে হবে রাজধানীর কয়েকটি নির্দিষ্ট দেয়ালের কাছে। দৈনিক বাংলার মোড়, প্রেসক্লাবের বিপরীতে, শান্তিনগর বাজারের পাশে, সায়েন্স ল্যাব মোড়ে, বাংলামোটরে অথবা মগবাজারে এক গলির মুখের দেয়ালের সামনে দাঁড়ালে প্রতিদিন সকাল থেকে পড়া যাবে কয়েকটি করে পত্রিকা। আরও নিশ্চয়ই অনেক জায়গায় রয়েছে এ ব্যবস্থা। কোথাও পাঁচ ছয়টি, কোথাও দশ থেকে বারোটি পর্যন্ত সংবাদপত্র সাঁটা থাকে।
বাংলাদেশে পথের শ্রমজীবী মানুষেরা বিশ্রাম নিতে নিতে ছবি দেখেন, তাড়াহীন পথচারী দুটো খবর পড়ে নেন। চাকরিপ্রার্থীরা মুঠোফোনে ছবি তুলে নেন বিজ্ঞাপনের। কিন্তু এই পত্রিকাগুলো কারা দিয়ে যায়, নির্বাচন করা হয় কীভাবে—জানা থাকে না কারও।মানুষকে তথ্যসেবা দিতে এবং খবরের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে জনসেবামূলক কাজটি কবে থেকে শুরু হয়েছে বলা কঠিন। গ্যেটি ইমেজের আর্কাইভের ছবি বলছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই সেবামূলক কাজটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও আছে। চীনে ১৯৫৮ সালে মাও সে–তুংয়ের ‘গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন’ (চড়ুই নিধন আন্দোলন)–এর খবরটি পথপ্রাচীরের গায়ে লাগানো হলে সেখানে পাঠকের ঢল নেমেছিল।
বাংলাদেশে পথের শ্রমজীবী মানুষেরা বিশ্রাম নিতে নিতে ছবি দেখেন, তাড়াহীন পথচারী দুটো খবর পড়ে নেন। চাকরিপ্রার্থীরা মুঠোফোনে ছবি তুলে নেন বিজ্ঞাপনের। কিন্তু এই পত্রিকাগুলো কারা দিয়ে যায়, নির্বাচন করা হয় কীভাবে—জানা থাকে না কারও। রাজধানীর শাহজাহানপুর, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলার মোড়, প্রেসক্লাবের সামনে এবং সায়েন্স ল্যাব মোড়ের দেয়ালে লাগানো পত্রিকার কাছে গিয়ে দেখা যায়, আগের দিনের সংবাদপত্রের ওপরই আরেকটি লাগানো হয়েছে। এতে দেয়ালে পুরো আস্তর জমেছে। কোথাও কোথাও আবার পুরোনো পত্রিকা তুলে দিয়ে নতুনটি বসানো হয় আঠা দিয়ে।
মূলধারার গণমাধ্যম দেয়ালে কমই খুঁজে পাওয়া যায়। চাকরির বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে জমি বা পাত্র-পাত্রীর খবর যেসব পত্রিকার প্রধান খবর—সেই পত্রিকাগুলোই থাকে এখানে। সব শ্রেণি–পেশার মানুষই পত্রিকা পড়েন পথে দাঁড়িয়ে। কেউ কেউ বাড়িতে বা কর্মস্থলে পত্রিকা পড়েও আবার পথে দাঁড়িয়ে যান অভ্যাসবশত। তাঁদের একজন শাহ আলী। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়ালে লাগানো পত্রিকা পড়ছিলেন ৪ সেপ্টেম্বর সকালে দাঁড়িয়ে। বললেন, বহু বছরের অভ্যাস। এসব পত্রিকায় বিচিত্র খবর থাকে। দেখা গেল, এখানে লাগানো হয়েছে উত্তরদক্ষিণ, জাতীয় অর্থনীতি, আমার কাগজ–এর মতো ১২টি সংবাদপত্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়ালে বসে থাকা এসব দৈনিকের মধ্যে গত শতকের আশির দশকে দৈনিক জনতা পত্রিকাটিও আছে।
শাহবাগের মতো ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পত্রিকার এজেন্ট আলীরাজ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিজ্ঞাপন পেলে দেয়ালে সেদিনের পত্রিকা লাগায় কম গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকাগুলো। সাধারণত ওই পত্রিকার এজেন্টরাই দিয়ে থাকে। এ কাজগুলো হকাররা করেন না। কিছু পত্রিকা আছে, যারা লাইসেন্স ঠিক রাখার জন্য মাঝেমধ্যে পত্রিকা প্রকাশ করে। তারাও দেয়ালে পত্রিকা দেন।
রাজধানীর শাহজাহানপুর, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলার মোড়, প্রেসক্লাবের সামনে এবং সায়েন্স ল্যাব মোড়ের দেয়ালে লাগানো পত্রিকার কাছে গিয়ে দেখা যায়, আগের দিনের সংবাদপত্রের ওপরই আরেকটি লাগানো হয়েছে। এতে দেয়ালে পুরো আস্তর জমেছে। কোথাও কোথাও আবার পুরোনো পত্রিকা তুলে দিয়ে নতুনটি বসানো হয় আঠা দিয়ে।তবে ঠাকুরগাঁও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নব্বইয়ের দশকে ঢাকা শহরের দেয়ালে তিনি সংবাদ–এর মতো পত্রিকা পড়েছেন। তখন মানুষের হাতে যন্ত্র এত সহজলভ্য ছিল না। তবে এই সময়েও রাজধানীতে দেয়ালে পত্রিকা এবং পথচারীদের পাঠের আগ্রহ দেখে বিস্মিত হতে হয়।
যাত্রী নামায় দিয়ে একটু জিরাইলাম। নির্বাচনের খবর আছে নাকি খুঁজতেছিলাম।রিকশাচালক চাঁদপুরের রুহুল আমিনমুদ্রণযন্ত্র আসার আগেও দেয়ালে পত্রিকার প্রচলনের খবর পাওয়া যায়। তবে সেসব ছিল হাতে লেখা পত্রিকা। যার অধিকাংশ প্রকাশিত হতো শিক্ষার্থীদের উৎসাহে। জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র কোন দেশে কবে প্রথম দেয়ালে লাগানো হয়েছিল, তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে প্রাচীন রোমে ‘অ্যাক্টা’ নামের সংবাদপত্র নিয়মিতভাবে দেয়ালে টাঙানোর খবর, স্পেনের গৃহযুদ্ধের রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠনগুলোর দেয়ালপত্রিকাকে একটি শক্তিশালী প্রচারমাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায় সংবাদপত্রবিষয়ক বিভিন্ন ইতিহাসের বইয়ে।
৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে পত্রিকা পড়তে থাকা রিকশাচালক চাঁদপুরের রুহুল আমিনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী পড়েন? প্রচণ্ড গরমে হাতে গামছা দুলিয়ে বাতাস নিতে নিতে বললেন, ‘যাত্রী নামায় দিয়ে একটু জিরাইলাম। নির্বাচনের খবর আছে নাকি খুঁজতেছিলাম।’