মৃত মুরগি থানায় এনে বিচার চাইলেন রশিদা বেগম
Published: 6th, April 2025 GMT
রশিদা বেগম (৫৫) থানার প্রবেশমুখের সিঁড়িতে বসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ১১টি মৃত মুরগি। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করছিলেন, তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। তখন প্রতিবেশীদের কেউ বিষ খাইয়ে মুরগিগুলোকে মেরে ফেলেছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানায় যান রশিদা বেগম। পরে রাতে তিনি ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রশিদা বেগম সদর উপজেলার গোকুন্ডার বেড়পাঙ্গা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী।
জিডিতে রশিদা বেগম উল্লেখ করেছেন, তিন–চার আগে তিনি সদর উপজেলার ঢাকনাই কুড়ার পাড়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে মুরগি খোঁয়াড়ে ওঠানোর সময় দেখতে পান, ১টি মুরগি ও ১০টি মুরগির বাচ্চা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
রশিদা বেগম বলেন, ‘আমি চায়াচিন্তে টাকা জমায়ে মুরগিগুলো কিনেছিলাম। অনেক যত্ন করে পুষছিলাম। মুরগিগুলো বেঁচে থাকলে ডিম দিত, ডিম বেচতাম, খাইতাম, ডিম থেকে বাচ্চা হতো। এখন তো আমার সব শেষ হয়ে গেল। কে আমার এমন ক্ষতি করল? আমি তার বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম।’
রশিদা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশীদের কেউ খাবারে বিষ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে মুরগিগুলোকে তিনি যখন বাড়ির বাইরে ছিলেন, তখন হত্যা করে ফেলে রেখে গেছেন। তবে জিডিতে তিনি সুনির্দিষ্ট করে কারও নাম–পরিচয় জানাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করলে তাঁর আরও ক্ষতি হতে পারে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, রশিদা বেগমের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে সাধারণ ডায়েরি (হিসেবে) হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রগ গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা