পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “সরকার মানুষের কল্যাণে এবং পরিবেশ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “দেশের পরিবেশ রক্ষায় কর্মকর্তাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। জনসেবার জন্য সৃজনশীলভাবে কাজ করতে হবে।”

রবিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

সৈকতে জেগে ওঠা কংক্রিট-জিও ব্যাগ পর্যটকদের গলার কাঁটা

ভাগাড়ে কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, “একটি অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং ও তদারকি করতে হবে।”

তিনি বলেন, “ঈদের আনন্দ আমরা পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে ভাগ করেছি। এখন কাজে মন দেওয়ার সময়।”

তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাদারিত্ব, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো.

খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপদেষ্টা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি এ সময় কয়রা, আশাশুনি, সুবর্ণচর ও পটিয়াসহ দেশের পানি দুস্পাপ্য এলাকায় সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে জলাশয় ও পুকুর খনন করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানসহ মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরসমূহের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট কর মকর ত উপদ ষ ট ক জ করত পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ