টেকনাফ সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, উড়ে গেল বাংলাদেশি জেলের পা
Published: 6th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার দুপুরে এটি ঘটেছে নাফ নদীর পাড়ে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, আহত যুবকের নাম মো. ফিরোজ (৩০)। তিনি আমতলী গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে।
পরিবারের বরাত দিয়ে লালু জানান, আজ দুপুরে ফিরোজ জাল নিয়ে নাফ নদীর হোয়াইক্যং তোতার দ্বীপে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার এক পর্যায়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে গেলে সেখানে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তিনি জানান, খবর পেয়ে লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুতুপালংয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে।
উখিয়া-৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, দুপুরে শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ১০০ গজ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তোতারদিয়া এলাকায় পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবক ফিরোজের পা বিচ্ছিন্ন হয়। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এনে চিকিৎসার জন্য উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট কন ফ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’