সাতদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার  আয়োজন  করেছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। এসব আয়োজনের মধ্যে নাটক টেলিছবির আধিক্যই বেশী। আজ ঈদ আয়েজনের শেষ দিনে ৯ টি বেসরকালী টেলিভিশন চ্যানেলে ৩২ টি নাটক ও ২টি টেলিছবি প্রচার হবে। 

এটিএন বাংলায় আজ রাতে প্রচার হবে নাটক নাটক ‘সমস্যা কী?’,‘স্মার্ট গার্ল’,‘ভালোবাসার কাছে ফেরা’,‘মেঘের বৃষ্টি’, ও ‘গরিবের বন্ধু’। চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে
 নাটক ‘জালিয়াত’,ও ‘বলো ভালোবাসি’।

এনটিভিতে থাকছে নাটক ‘রূপবানের প্রেম’,‘প্রেম আমার’,‘প্রণয় ফাল্গুনে’, ও ‘সন্ধ্যায় সমাধান’,আরটিটিতে প্রচার হবে নাটক ‘দুই জীবন’,‘ কাছাকাছি পাশাপাশি’,‘এক্সকিউজ মি প্লিজ’,‘হেলিকপ্টার’,ও ‘মোবাইল মফিজ।  

বাংলাভিশনে প্রচার হবে টেলিছবি ‘তাসের ঘর’,  নাটক ‘ছেলেটা পাগল পাগল’,‘টিম আফ্রিকা’,‘মানি মাচের্ন্ট’,‘চার কুতুব’,‘বালক বালিকা’,‘হিটার’’, ও ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে’,।  বৈশাখী টিভিতে থাকছে নাটক ‘ব্ল্যাক মানি’ ,‘মানি লোকের মান’,‘শাশুড়ির বিয়ে’‘লন্ডনী জামাই’,‘অকর্মা’,‘ট্রাক ড্রাইভার’,‘আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নাই’,ও ‘ভাগ্যবিবি’। মাছরাঙা টিভিতে প্রচার হবে নাটক ‘বিয়ের জ্বালা’,‘অভ্যাস’,‘মধুমালা’, ‘ব্রেকিং নিউজ’ ও টেলিছবি ‘লাভ ইউ টিচার’।

নাগরিক টিভিতে রয়েছে নাটক ‘গুজবে কান দেবেন না’। দুরন্ত টিভিতে থাকছে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা’। 
##### 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ