বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উচ্চ হারে নতুন এ শুল্ক কার্যকর হবে ৯ এপ্রিল থেকে। কিন্তু রোববার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন নির্ধারিত তারিখ থেকেই পাল্টা শুল্ক কার্যকর করবে। এটি পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি জানান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ বেশকিছু দেশ পাল্টা শুল্কারোপ কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর আবেদন করেছে। বাংলাদেশও নির্ধারিত তারিখে কার্যকর না করার অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের গুলশানের বাসভবনে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

পরে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে আমরা জানতে চেয়েছিলাম– বর্ধিত শুল্ক বাস্তবায়নের তারিখ পেছানোর কোনো সম্ভাবনা আছে কি না? এর কোনো সুযোগ নেই বলে তারা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ৯ এপ্রিল কিছু দেশের ওপর শুল্ক স্থগিত রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন আমাদের মূল কার্যপদ্ধতি হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। সেক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানায়নি। তারা বাণিজ্য সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এসব আলোচনার মাধ্যমেই সামনে এগোনোর উপায় বের হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা জানানোর চেষ্টা করেছি– আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে এসব আলোচনায় যুক্ত থাকবেন। বাকি কাজগুলো ধাপে ধাপে করা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের যোগাযোগের উপায় গ্রহণ করতে পারি, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি, আমরা সেগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে যেগুলো আমাদের অর্থনীতির জন্য উপকারী, আমরা অবশ্যই সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাইব। কিন্তু, যেগুলো উপকারী নয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা আরও আলোচনা করব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট ক র যকর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জর্ডানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জর্ডানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। বিশেষ করে, রাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) দূতাবাসের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জর্ডানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করতে পারে। সে কারণে বাংলাদেশিদের স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা ও সতর্কতামূলক বার্তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সাইরেন বাজালে তাৎক্ষণিকভাবে কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।  

জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিক হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে +৯৬২৭৮১৬৪০০৮১ (হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো) নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস এ সংকটকালে সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে সচেতন ও সতর্ক থেকে চলাফেরা করার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ