বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সোমবার থেকে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

প্রক্টর দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অফিস চলাকালীন দিনগুলো সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড় ও নীলক্ষেত- এই প্রবেশপথগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, সাংবাদিক, রাইড শেয়ার, খাবার গাড়ি, অনলাইন শপিং বাহনসহ অন্যান্য সরকারি গাড়ি) ব্যতীত অন্য যানবাহন ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এছাড়াও গণপরিবহন ও ভারী যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ সবসময়ই নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

অংশীজনদের মতামত, পরামর্শ এবং বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত সময়ে সময়ে পুনঃ মূল্যায়ন হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। 

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশমুখে যান চলাচল সীমিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গাড়ি প্রবেশ সীমিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। নিয়মটি মানা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে বইমেলা ও রমজানে জনভোগান্তি কমাতে মাঝে এই নিয়ম শিথিল করে কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ