ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ০–০ ম্যানচেস্টার সিটি
স্বপ্নের রঙ্গমঞ্চ ওল্ড ট্রাফোর্ডে আগ্রহ, উত্তাপ, উত্তেজনার কমতি ছিল না। আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণে মাঠের লড়াইও বেশ জমে উঠল। কিন্তু যে মুহূর্ত দেখার জন্য ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষায় থাকেন; সেই মুহূর্তটাই যদি না আসে, তাহলে সবকিছু পানসে হয়।
ম্যানচেস্টার ডার্বিও তাই পানসে বা ম্যাড়ম্যাড়ে লাগা স্বাভাবিক। দুই দলের কেউ যে গোল করতে পারল না। ঘরের মাঠে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মহারণে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
দুই দলের লড়াই সর্বশেষ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল ৫ বছর আর ১২ ম্যাচ আগে। ২০২০ সালের করোনাকালীন সময়ে সেই ম্যাচটি হয়েছিল রুদ্ধদ্বার ওল্ড ট্রাফোর্ডে। সেই ম্যাচে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার বিপরীত ডাগআউটে ইউনাইটেড কোচ হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন উলে গুনার সুলশার।
প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই থেকে অনেক আগেই ছিটকে পড়েছে দুই দল। তবে ইউনাইটেডের জন্য লড়াইটা মর্যাদার হলেও সিটির জন্য ছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে ফেরার।
সন্ধ্যার ম্যাচে চেলসি ব্রেন্টফোর্ডের সঙ্গে ড্র করায় ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতলেই শীর্ষ চারে উঠে আসত সিটি। কিন্তু ইউনাইটেডকে হারাতে না পারায় গার্দিওলার দল পাঁচেই রয়ে গেল। মৌসুম শেষে সিটি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া কেভিন ডি ব্রুইনাকেও শেষ ম্যানচেস্টার ডার্বিতে অম্লমধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো। আর রুবেন আমোরিম এই মৌসুমে গার্দিওলার বিপক্ষে তিন ম্যাচেই অপরাজিত রইলেন। দুবার ইউনাইটেড কোচ হিসেবে, একবার স্পোর্তিং লিসবনের কোচ হিসেবে।
৩১ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট এখন ৫২। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে ইউনাইটেড।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন