রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের একটি বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভোররাত ৪টা ১০ মিনিটে নাজিমউদ্দিন রোডের একটি ৫তলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটি প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর সোয়া ৫টার দিকে আগুন নির্বাপন করে।

শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির দোতলা থেকে চতুর্থতলার বাসা থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিকান্ডের কারণ জানা যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.

ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে প্রচন্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ