খুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত কিশোর পলাশের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

এর আগে রোববার রাতে খুলনা নগরীর শান্তিধাম মোড়ের জাতিসংঘ শিশুপার্কের ঈদ মেলায় ধারালো অস্ত্রদিয়ে পলাশকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

নিহত পলাশ খুলনা সদর থানার মতলেবের মোড় এলাকার মো.

আব্দুল হামিদ খানের ছেলে। তার বয়স ১৭ বছর।

খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম জানান, পলাশ নগরীর মতলেবের মোড় এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। শনিবার রাতে জাতিসংঘ শিশুপার্কের ভেতর প্রতিপক্ষের সঙ্গে পলাশের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের হিসেবে রোববার রাত ৯টার দিকে প্রতিপক্ষরা হত্যার উদ্দেশ্যে পলাশের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পেট কেটে পলাশের নাড়ি ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই তার অস্ত্রপ্রচার করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি।‌ সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।

ওসি বলেন, হামলাকারীদের গ্ৰেপ্তারে রাত থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। লাশ‌ দাফনের পর মামলা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পল শ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ