Prothomalo:
2025-11-03@13:22:17 GMT

চৌকস হওয়ার ৫ জাপানি টেকনিক

Published: 7th, April 2025 GMT

চৌকস হতে কে না চায়! চট করে জেনে নেওয়া যাক পাঁচ জাপানি টেকনিক, যা সহজে নতুন কিছু শিখতে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।

১. শিরিতরি

শিরিতরি হলো ‘ওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন গেম’। আমরা সবাই কমবেশি খেলাটার সঙ্গে পরিচিত। ধরুন, প্রথমজন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল।’

দ্বিতীয়জন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল, বি ফর বল।’

তৃতীয়জন বলল, ‘এ ফর অ্যাপল, বি ফর বল, সি ফর ক্যাট।’

এভাবে ঘুরে ঘুরে খেলা চলতে থাকে। যে মনে রাখতে পারে না বা ভুল করে, সে বাদ। আর যে ঠিক ঠিক মনে রেখে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শব্দ বলতে পারে, সে-ই জয়ী হয়। এটা মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো একটা ব্যায়াম (সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ সিনেমায় একটি দৃশ্য আছে। সেখানে চরিত্ররা বনে বেড়াতে গিয়ে ‘শিরিতরি’ খেলে)।

২.

কানজি ভিজ্যুয়ালাইজেশন

‘কানজি’কে বলা যেতে পারে জাপানি বর্ণের মতো জটিল কিছু চিহ্ন। চিহ্নগুলো মনে রাখা কঠিন বটে। তাই একেকটি চিহ্ন দেখে সেটার সঙ্গে মিলিয়ে কোনো প্রাণী বা কোনো বস্তু অথবা কোনো গল্প কল্পনা করে নিতে বলা হয়। তাতে সেই চিহ্ন মনে রাখা সহজ হয় (মনে করুন, চন্দ্রবিন্দু বর্ণটি মনে রাখছেন চাঁদকে কল্পনা করে, বিষয়টি অনেকটা এ রকম)। অর্থাৎ কোনো চিহ্নের সঙ্গে মিলিয়ে যা কল্পনা করা হয়েছে, সেটি চিহ্নটিকে মনে রাখতে সাহায্য করে।

৩. মোজিতসুকি (মাইন্ড ম্যাপিং)

এর মানে হলো মনের ভেতরে যা কিছু চলছে, সেগুলো লিখে ফেলা বা এঁকে ফেলা। এটি আপনাকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে বা সমাধান খুঁজে পেতে অত্যন্ত সহায়ক।

৪. জাজেন ফোকাস (মেডিটেটিভ লার্নিং)

জাপানিদের অনেকেই মেডিটেশন বা ধ্যানকে দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর ফলে পরিষ্কারভাবে চিন্তা করা, মনোযোগ ধরে রাখা, সৃজনশীল কাজে মনোবিনেশ করা, ‘রিকানেক্ট’ করা সহজ হয়।

৫. কোজিজি (স্টোরিটেলিং টেকনিক)

‘ইতিহাস’ নাম শুনলেই অনেকের ঘুম পায়। এদিকে জাপানিরা ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঁচিয়ে রাখেন গল্পের ছলে। বাড়ির বয়স্করা ছোটদের পূর্বপুরুষদের গল্প শোনান। তাঁদের ইতিহাস বই, রান্নার বই, নৃতত্ত্ব—এ রকম নানা কিছু গল্পের মতো করে বলা বা লেখা হয়। ইতিহাসের নানা ঘটনা আশ্রয় করে বানিয়ে ফেলা হয় সিনেমাও। ফলে সেগুলো আর বিরক্তিকর লাগে না, বরং ‘ইন্টারেস্টিং’ লাগে। আবার মনে রাখাও সহজ হয়।

সূত্র: মানি কন্ট্রোল

আরও পড়ুনঅফিসে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, বুঝুন ১০ লক্ষণ দেখে০২ ডিসেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ