ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বাদ আসর শহরের ডিআইটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন কওে চাষাড়া গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার।

বিক্ষোভ পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, আজ আমরা গভীরভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত। মানবতার ইতিহাসে এর চেয়ে নৃশংস বর্বরতা আর হতে পারে না। ইসরায়েল অবিচার ও অন্যায়ের মাধ্যমে নিরীহ, নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। আমাদের দেহ বাংলাদেশে, কিন্তু মন পড়ে আছে ফিলিস্তিনে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আজকের এই মিছিল থেকে আমরা তাদের ধিক্কার জানাই। আমরা মনে করি, প্রতিটি শান্তিকামী মানুষ এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে।

অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সকল দেশের বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরীর সাবেক আমীর মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মহানগর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, এইচ এম নাসির উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য মোখলেসুর রহমান, মাওলানা ওমর ফারুক, সাঈদ তালুকদার, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বশীল হাফেজ আবদুল মোমিনসহ শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসর য় ল বর বর আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ