আলোচিত হিন্দি সিরিয়াল ‘সিআইডি’–তে অভিনয়ের সুবাদে দর্শকমহলে ‘এসিপি প্রদ্যুমন’ নামেই পরিচিতি পেয়েছেন ভারতীয় অভিনেতা শিবাজী সত্যম। ২৭ বছর ধরে ‘এসিপি প্রদ্যুমন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

মাঝখানে ছয় বছর পর বিরতির পর আবারও এসিপি প্রদ্যুমন রূপে পর্দায় ফেরেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। গত বছরের ডিসেম্বরে অনেকটা চমকে দিয়ে স্মৃতিজাগানিয়া সিরিয়ালটি ফিরিয়েছে সনি টিভি। সিরিয়ালটি প্রচারের মধ্যে গত শনিবার সনি টিভি জানিয়েছে, পর্দায় এসিপি প্রদ্যুমন চরিত্রের মৃত্যু ঘটছে।

খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এর মধ্যে আলোচনা চলছে, এসিপি প্রদ্যুমনের বদলে কোন চরিত্রটি ‘সিআইডি–২ ’–এ পর্দায় আসছে। এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, এই ধারাবাহিকে অভিনেতা পার্থ সামথন যোগ দিতে পারেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিবাজী সত্যম বলেছিলেন, তিনি এই ধারাবাহিক থেকে কিছুটা সময়ের জন্য বিরতি চেয়েছেন। সেই কারণেই নির্মাতা তাঁর মৃত্যুর ঘটনা দেখিয়েছেন। তবে তিনি ভবিষ্যতে আবার ফিরে আসবেন কি না, তা কেবল নির্মাতারাই জানেন।

আরও পড়ুনফিরছেন এসিপি প্রদ্যুম্ন, ৬ বছর পর ‘সিআইডি’২৭ অক্টোবর ২০২৪

কেউ কেউ ধারণা করছিলেন, পার্থকে এসিপি প্রদ্যুমনের চরিত্রে দেখা যাবে। তবে তা নয়, পার্থকে এসিপি অংশুমান নামে নতুন একটি চরিত্রে পাওয়া যাবে।

‘সিআইডি’ দিয়ে বেশ কয়েক বছর পর ছোট পর্দায় ফিরছেন পার্থ সামথন। এর আগে হিট শো ‘কাইসি ইয়ে ইয়ারিয়ান’-এ অভিনয় করে পরিচিতি পান। তাঁকে শেষবার ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর দ য় স আইড

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ