বাবার বাড়ি থেকে ৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন অন্তঃসত্ত্বা রিপা খাতুন (২৬)। কিন্তু নিজের বাড়িতে ফেরা হলো না। পথে তাদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় গাড়ি। এতে অনাগত সন্তানসহ রিপা ও তার ছেলে শেখ সোয়াদ নিহত হন। 

সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চানপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রিপা শৈলকুপার সিতলিডাঙ্গা গ্রামের সোহেল শেখের স্ত্রী। 

নিহতের স্বজনরা জানান, রোববার ঝিনাইদহ শহরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখান রিপা। পরে ছেলেকে নিয়ে তিনি শৈলকুপার ভাটই বাজার এলাকায় বাবার বাড়িতে যান। আজ অটোরিকশায় ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন রিপা। পথে তাদের অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় বাস বা ট্রাক। পরে স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রিপাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে সোয়াদের মৃত্যু হয়। 

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.

ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, রিপাকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শিশু সোয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টায় মারা যায়।

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম হাসানুজ্জামান জানান, অটোরিকশাচালক পালিয়ে গেছেন। অটোরিকশাকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি বাস নাকি ট্রাক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ ন হত সড়ক দ র ঘটন ঝ ন ইদহ অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ