সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের গুণে কুসংস্কার ও সামাজিক অনাচারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। যোগ্য নেতৃত্ব সংগঠন সমাজকে এগিয়ে নেয় আগামীর পথে। পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নেতৃত্ব বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংগঠন। তাই সংগঠন চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেতৃত্ব একটি শিল্প। সমাজের উন্নয়নের জন্য সামাজিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। সমাজে যৌতুকপ্রথা, বাল্যবিয়ে ও যৌন হয়রানির মতো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। এসবের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। সমকাল বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি ভালো কাজের সঙ্গেও যুক্ত। সমকালের প্রকাশক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
২ এপ্রিল সমকালের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধির কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজবাড়ীর সুহৃদরা তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। আবুল কালাম আজাদ সুহৃদদের উদ্দেশে বলেন, রাজবাড়ীর সুহৃদ সমাবেশের কর্মকাণ্ড প্রশংসনীয়। রাজবাড়ীর সুহৃদরা এভাবেই আরও সমৃদ্ধ হবেন। 
রাজবাড়ী সুহৃদ উপদেষ্টা ও সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গড়া রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশে রয়েছে একদল উদ্যমী তরুণ, যারা সৃজনশীল কাজ করতে পছন্দ করে। সবার সহযোগিতা পেলে তারা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। 
উপদেষ্টা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, সমাজকে এগিয়ে নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য সুহৃদরা সব সময় সচেষ্ট।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক খান, ফরিদপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল আলম খান, ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কামাল হোসেন, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ জিন্নাহ, রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকার, নেহাল আহমেদ, নাসির খান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক জুয়েল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক তানজিনা তাজিন, কার্যকরী সদস্য শামীম আল হাসান, শাহাদত হোসেন, শাহনাজ সান্ত্বনা, জুবায়ের জুয়েল প্রমুখ।
সভার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সুহৃদ সমন্বয়ক ও সমকালের জেলা প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন। v
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল জ র সমক ল স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ