ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক ও স্কুলকর্মীর নিয়োগ বাতিল হওয়ার পর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের এক সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে তোমাদের চাকরি কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’ 

ওই রায় অনুযায়ী, ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ হয়েছিল, তাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও সিপিএম চক্রান্ত করে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করবে। এনডিটিভি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ