অবশেষে বাটলারের অনুশীলনে ‘বিদ্রোহী’রা
Published: 8th, April 2025 GMT
এক দিন আগেই বিদ্রোহী ফুটবলারের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন কোচ পিটার বাটলার, যেখানে সব ভুলে নতুন করে শুরুর জন্য ফুটবলারদের আমন্ত্রণ জানান এই ইংলিশ কোচ। শেষ পর্যন্ত কোচের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আজ অনুশীলনে ফিরেছেন কৃষ্ণা-সানজিদারা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৬৮ দিন পর দেশের নারী ফুটবলে বিদ্রোহের অবসান হলো।
গতকাল জিম সেশনের পর আজ সকাল ছয়টায় ধানমন্ডির আবাহনী লিমিটেডের মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল, যেখানে কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা বেশির ভাগ ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার জানিয়েছিলেন, কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইতি টেনেছেন ১৮ ফুটবলার। এমনকি তাঁরা অনুশীলনে ফিরতেও রাজি। কিন্তু ঈদের ছুটি কাটিয়ে সোমবার শুরু হওয়া অনুশীলনে ফেরেননি সেই ফুটবলারদের কেউ।
বিদ্রোহ করা ১৮ খেলোয়াড়ের মধ্যে ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও সাবিনা খাতুন বর্তমানে ভুটানে আছেন। দেশটির ক্লাব পারো এফসির হয়ে লিগে খেলবেন তাঁরা। এর বাইরে থাকা ১৪ জনের মধ্যে তহুরা খাতুনের আজ ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা আছে।
বাকি ১৩ জন শিউলি আজিম, মোসাম্মাৎ সাগরিকা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানী, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, সাথী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার অনুশীলনে ফিরেছেন।
বাটলারের সঙ্গে সিনিয়র ফুটবলারদের দ্বন্দ্বের সূচনা গত অক্টোবরে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সময়। জানুয়ারির মাঝামাঝি এই ইংলিশ কোচের চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর পরই আবার বিতর্ক শুরু হয়। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর কোচ টিম মিটিং ডাকলেও তাতে হাজির হননি ক্যাম্পে থাকা ১৮ ফুটবলার।
গত ৩০ জানুয়ারি বাফুফে ভবনের সামনে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন সাবিনারা। তাঁরা জানান, বাটলারকে কোচ রাখলে অনুশীলনে যোগ দেবেন না। সবাই একযোগে অবসরের হুমকিও দিয়েছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’