ঝিনাইদহের মহেশপুরে রকি আহমেদ ও রিঙ্কু মিয়া নামে দুই কৃষকের প্রায় ৩ হাজার ড্রাগন ও ৭শ পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

ক্ষতিগ্রস্ত এই দুই কৃষক মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের বামনগাছি গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে মাঠে গিয়ে গাছগুলো কাটা অবস্থায় দেখতে পান কৃষকরা। এরআগে সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বামনগাছি গ্রামের মাঠে দুর্বৃত্তরা এ অকাণ্ড ঘটায়। 

স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের মাঠে কৃষক রকি আহমেদ আগে দুই বিঘা জমিতে ডাগ্রন ফলের আবাদ করেছিলেন। এই বাগান থেকে আগে কিছু ড্রাগন ফল বিক্রিও করেছেন তিনি। সোমবার রাতে ড্রাগন গাছগুলো গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

রাতের আঁধারে কেটে ফেলা পেয়ারা গাছ

অন্যদিকে একই গ্রামের কৃষক রিঙ্কু মিয়ার আড়াই বিঘা জমির অন্তত ৭শ পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব গাছে পেয়ারা ধরেছিল। এ অকাণ্ডে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক।

ক্ষতিগ্রস্থস্ত কৃষক রকি আহমেদ বলেন, “কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানি না। ফসলের সঙ্গে কেন এমন শত্রুতা? কোনো মানুষ এমন ক্ষতি করতে পারে? আমি এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেব।”

কৃষক রিংকু মিয়া বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।”

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, “এ রকম ফসলহানির ঘটনা জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ