সবজিখেতে মিলল হোটেল কর্মচারীর লাশ
Published: 8th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের পটিয়ায় সবজিখেতের ভেতর এক হোটেল কর্মচারীর লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম নুরুল ইসলাম (৫৩)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর ছনহরা ভট্টাচার্যের সড়কের পশ্চিমে পাশের সবজিখেতে লাশটি দেখতে পান খেতের মালিক। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নুরুল ইসলাম ছনহরা ইউনিয়নের উত্তর ছনহরা গ্রামের আকবর সিকদার বাড়ির মৃত কবির আহমদের ছেলে। তিনি পটিয়ার বাসস্টেশনের কাছে একটি হোটেলে চাকরি করতেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে হোটেল থেকে বের হন তিনি। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মামুন সিকদার বলেন, সকালে খেতের মাঝখানে লাশটি পড়ে ছিল। তাঁর পরনে কিছুই ছিল না। প্রায় ১৫ হাত দূরে তাঁর পরনের লুঙ্গিটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে করছি কেউ তাঁকে গলায় রশি বেঁধে খুন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর হাতেও জখম রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কারও পূর্বশত্রুতা ছিল না।’
পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো.
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী প্রথম আলোকে বলেন, যে এলাকায় লাশটি পাওয়া গেছে সেই, এলাকায় রাতে বখাটে কিছু লোক নিয়মিত আড্ডা দেন। তাঁদের কেউ নুরুল ইসলামকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’