শের-ই-বাংলায় ক্রিকেটারদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। প্রায় দুই ঘণ্টা জুড়ে মিরপুরে ইনডোরে ঘাম ঝরিয়ে ফিরছিলেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পাওয়া এই পেসারের প্রতি গণমাধ্যমের আগ্রহ একটু বেশি থাকার কথা।

তাই হলো। সব ক্যামেরা ছুটে যায় তানজিমের দিকে। কিন্তু যেন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন এই পেসার। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও ক্লান্ত বলে এড়িয়ে গেলেন। অবশ্য ক্লান্তি ঘিরে ধরাররই কথা। এই গরমে টানা দুই ঘণ্টা ব্যাটিং-বোলিং চাট্টিখানি কথা নয়।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে তানজিমকে নিয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লাল সবুজের জার্সিতে সাদা বলে ২৮ ম্যাচ খেলা তানজিম কেন টেস্টের জন্য উপযোগী সেটা ব্যাখা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

‘চূড়ান্ত হয়‌নি ১০৪৮৭ হজযাত্রীর বা‌ড়ি ভাড়া, এজেন্সির অবহেলা বরদাস্ত করা হ‌বে না’

লিপু বলেন, “তানজিম সাকিবকে আমাদের পেস বোলিং ইউনিটে দেখতে পাবেন। তিনি ইতিপূর্বে সাদা বলের ক্রিকেটে যথেষ্ট প্রতিশ্রুতি রেখেছেন এবং ভালো করার জেদ তার মধ্যে আছে। তার পেস আছে তার উইকেট নেওয়ারও সক্ষমতাও আছে এই ইউনিটে। সেকারণে তিনি জায়গা করে নিয়েছে।”

এখন পর্যন্ত ১৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন তানজিম। উইকেট নিয়েছেন ২৫টি। তবে সাদা বলে আগ্রাসী মনোভাবের কারণে তানজিম প্রতিপক্ষের জন্য বড় এক হুমকি।

দীর্ঘদিন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে ফেরা ইবাদত হোসেন খেলছেন পুরোদমে। কিন্তু ইবাদতকে না রেখে তানজিমকে কেন অভিষেক করানো হচ্ছে এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেই ব্যাখাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।

“আমরা দুর্ভাগ্যবশত এবাদতকে এখনো পর্যবেক্ষণ করছি এবং ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলি (ফিটনেস কোচ) চলে আসলে এবং বায়েজিদের (ফিজিও) কম্বিনেশন মিলে বুঝতে পারব সে কি অবস্থায় আছে।”

দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন লিপু, “সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে, আমাদের নিউজিল্যান্ডে সঙ্গে খেলা আছে, সুতরাং যারা এখানে প্রথম টেস্টে সুযোগ পায়নি তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই, দ্বিতীয় টেস্ট আছে, আরও খেলা আছে।”

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া