তানজিম কেন প্রথমবার দলে, ইবাদত কেন নেই
Published: 8th, April 2025 GMT
শের-ই-বাংলায় ক্রিকেটারদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। প্রায় দুই ঘণ্টা জুড়ে মিরপুরে ইনডোরে ঘাম ঝরিয়ে ফিরছিলেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পাওয়া এই পেসারের প্রতি গণমাধ্যমের আগ্রহ একটু বেশি থাকার কথা।
তাই হলো। সব ক্যামেরা ছুটে যায় তানজিমের দিকে। কিন্তু যেন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন এই পেসার। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও ক্লান্ত বলে এড়িয়ে গেলেন। অবশ্য ক্লান্তি ঘিরে ধরাররই কথা। এই গরমে টানা দুই ঘণ্টা ব্যাটিং-বোলিং চাট্টিখানি কথা নয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে তানজিমকে নিয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লাল সবুজের জার্সিতে সাদা বলে ২৮ ম্যাচ খেলা তানজিম কেন টেস্টের জন্য উপযোগী সেটা ব্যাখা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
‘চূড়ান্ত হয়নি ১০৪৮৭ হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়া, এজেন্সির অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না’
লিপু বলেন, “তানজিম সাকিবকে আমাদের পেস বোলিং ইউনিটে দেখতে পাবেন। তিনি ইতিপূর্বে সাদা বলের ক্রিকেটে যথেষ্ট প্রতিশ্রুতি রেখেছেন এবং ভালো করার জেদ তার মধ্যে আছে। তার পেস আছে তার উইকেট নেওয়ারও সক্ষমতাও আছে এই ইউনিটে। সেকারণে তিনি জায়গা করে নিয়েছে।”
এখন পর্যন্ত ১৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন তানজিম। উইকেট নিয়েছেন ২৫টি। তবে সাদা বলে আগ্রাসী মনোভাবের কারণে তানজিম প্রতিপক্ষের জন্য বড় এক হুমকি।
দীর্ঘদিন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে ফেরা ইবাদত হোসেন খেলছেন পুরোদমে। কিন্তু ইবাদতকে না রেখে তানজিমকে কেন অভিষেক করানো হচ্ছে এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেই ব্যাখাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
“আমরা দুর্ভাগ্যবশত এবাদতকে এখনো পর্যবেক্ষণ করছি এবং ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলি (ফিটনেস কোচ) চলে আসলে এবং বায়েজিদের (ফিজিও) কম্বিনেশন মিলে বুঝতে পারব সে কি অবস্থায় আছে।”
দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন লিপু, “সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে, আমাদের নিউজিল্যান্ডে সঙ্গে খেলা আছে, সুতরাং যারা এখানে প্রথম টেস্টে সুযোগ পায়নি তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই, দ্বিতীয় টেস্ট আছে, আরও খেলা আছে।”
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন