গত পরশু বিদ্রোহী ফুটবলারের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন কোচ পিটার বাটলার, যেখানে সব ভুলে নতুন করে শুরুর জন্য ফুটবলারদের আমন্ত্রণ জানান এই ইংলিশ কোচ। শেষ পর্যন্ত কোচের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আজ অনুশীলনে ফিরেও পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না বিদ্রোহী ফুটবলাররা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিদ্রোহীদের একজন আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি এবার নাকি দলে জায়গা পেতে অনেক পরীক্ষা দিতে হবে। এটা কি আমাদের বাদ দেওয়ার জন্যই করছেন তিনি (কোচ)?’ বাটলারের আগে যাঁরা কোচের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সময় কি এ রকম পরীক্ষা দিতে হতো না? এমন প্রশ্নের উত্তরে এই বিদ্রোহীর মন্তব্য, ‘হ্যাঁ, দিতে হতো, কিন্তু এতটা কঠিন ছিল না।’

আরও পড়ুনঅদ্ভুত এক নিয়মের কারণে মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে খেলতে পারেন ডি ব্রুইনা ৩ ঘণ্টা আগে

যেকোনো টুর্নামেন্টের আগে স্কোয়াডে জায়গা পেতে নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা এবং পদ্ধতির মধ্য দিয়ে ফুটবলারদের আসতে হয়। সেটা কোচভেদে ভিন্ন হওয়াটাও স্বাভাবিক। বাটলার যেমন প্রথমে ১০–১৪ দিন ফিটনেস ট্রেনিং করাবেন, যার শুরুতে থাকবে বিপ টেস্ট। ফিটনেস ট্রেনিংয়ে প্রত্যেক ফুটবলারকে প্রায় ১৬০০ মিটার পর্যন্ত দৌড়াতে হবে। এরপর থাকবে রিকভারি বল ড্রিলসহ ৪০ মিটার শাটল দৌড়।

যত দূর জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ফুটবলারদের সামগ্রিক একটা মূল্যায়ন হবে। যেখানে বিপ টেস্ট, ফিটনেস টেস্টের স্কোর, পারফরম্যান্স, শৃঙ্খলা ও আচরণের মাপকাঠি বিচার করেই এশিয়ান কাপ বাছাই এবং সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দুই ভাগে মোট ৩৫ জন খেলোয়াড় বাছাই করবেন কোচ।

সানজিদা ও মারিয়া মান্দাও ছিলেন অনুশীলনে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ