নরসিংদীর রায়পুরায় দুই বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ভুক্তভোগীরা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

অভিযুক্তরা হলেন- চরআড়ালিয়া এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে কাইয়ুম, শাহ মিয়ার ছেলে মুন্না, কাদির মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া, খলিল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়াসহ আটজন।

স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল বিকেলে কাইয়ুম (২১) ও মুন্না (২২) নামে দুই যুবকের সঙ্গে নৌকায় ঘুরতে যায় দুই বান্ধবী।  সন্ধ্যার দিকে কৌশলে কাইয়ুম ও মুন্না নৌকা তীরে ভিড়ায় এবং দুই কিশোরীকে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কাইয়ুম ও মুন্না তাদের আরো ছয় বন্ধুকে ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে চলে যায়। কিশোরীরা বাড়ি ফিরে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। 

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি

ভুক্তভোগী এক কিশোরীর বাবা বলেন, “আমরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছি, চেয়ারম্যান বলেছেন বিচার করে দেবেন। আমরা বিচারের অপেক্ষায় আছি। থানা পুলিশের ঝামেলায় যেতে চাই না। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছি।”

অপর ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, “রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। আমরা তাদের সঙ্গে পারব না। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছি। চেয়ারম্যান যে বিচার করবে আমি তাই মেনে নেব।” 

তিনি আরো বলেন, “আমি গরিব মানুষ, থানা পুলিশ করার মতো সমর্থ্য আমার নেই।”

চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদা জামান সরকার বলেন, “তারা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি ঘটনা শুনেছি। সব বিষয় চিন্তা করে আমি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচারে বসব।”

ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম আদালতে মীমাংসা যোগ্য কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। বিচারে বিলম্ব হলে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বিচার কীভাবে করবেন এ প্রশ্নের জবাবেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তাছাড়া কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ