চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ও বিএনপির নেতাদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকেও সেখানে দুপক্ষের নেতা–কর্মীরা অবস্থান করছিলেন।

দুপক্ষের নেতা–কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে জুলধা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সেলিম রেজার সঙ্গে জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব সালাউদ্দিনের কথা–কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে মঙ্গলবার বিকেলে ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত পুলিশ কেন্দ্রে দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেলিম রেজা জুলধা এলাকার দুজন ছাত্র প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে যান। সালাউদ্দিন স্থানীয় ছাত্রদল–যুবদলের কয়েকজন নেতা–কর্মীকে সঙ্গে নেন। বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর সেলিম রেজাকে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় নিয়ে যান সালাউদ্দিনের কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে রাতে ছাত্র প্রতিনিধি ও বিএনপির নেতা–কর্মীরা থানায় গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি ছাত্র আন্দোলন করেছি। সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে ছিলাম। গণভবন পর্যন্ত যাই। কিন্তু আজ বৈঠকে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের লোকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন কর্মীসহ আমাকে মারধর করেছে।’

জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সালাউদ্দিন বলেন, ‘সেলিম রেজা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পদধারী নেতা। সে এখন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে পরিচয় দিচ্ছে। আজ একটি বৈঠকে গিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের গায়ে হাত তুলেছে।’  

এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, তেমন কিছুই না। তুচ্ছ ঘটনায় এমনটা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র কর ম ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ