চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতা–কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা
Published: 9th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ও বিএনপির নেতাদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকেও সেখানে দুপক্ষের নেতা–কর্মীরা অবস্থান করছিলেন।
দুপক্ষের নেতা–কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে জুলধা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সেলিম রেজার সঙ্গে জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব সালাউদ্দিনের কথা–কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে মঙ্গলবার বিকেলে ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত পুলিশ কেন্দ্রে দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেলিম রেজা জুলধা এলাকার দুজন ছাত্র প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে যান। সালাউদ্দিন স্থানীয় ছাত্রদল–যুবদলের কয়েকজন নেতা–কর্মীকে সঙ্গে নেন। বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর সেলিম রেজাকে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় নিয়ে যান সালাউদ্দিনের কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে রাতে ছাত্র প্রতিনিধি ও বিএনপির নেতা–কর্মীরা থানায় গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি ছাত্র আন্দোলন করেছি। সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে ছিলাম। গণভবন পর্যন্ত যাই। কিন্তু আজ বৈঠকে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের লোকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন কর্মীসহ আমাকে মারধর করেছে।’
জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সালাউদ্দিন বলেন, ‘সেলিম রেজা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পদধারী নেতা। সে এখন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে পরিচয় দিচ্ছে। আজ একটি বৈঠকে গিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের গায়ে হাত তুলেছে।’
এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, তেমন কিছুই না। তুচ্ছ ঘটনায় এমনটা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।