সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আজিজ জামিনে মুক্তির পর জেলে গেটে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একদল ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। সে সময় সিরাজগঞ্জের সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে একই দৃশ্য দেখা গেছে।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের জেরে ১৫ বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

কক্সবাজারে রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩০০

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আজিজ ছাড়া পেয়েছেন, এমন খবরে একদল লোক সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে জড়ো হন। আবদুল আজিজ জেলা কারাগার থেকে বের হলে সবাই তাকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে হেনস্তা ও মারধর করা হয়। জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা কারা সুপার কামরুল হুদা বলেন, ‘‘দুদিন আগে হাইকোর্ট থেকে আবদুল আজিজের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে সেই আদেশ আমাদের কাছে আসে। আদেশ হাতে পাওয়ার পর সেটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে কিছুটা সময় লাগে। রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’

সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বলেন, ‘‘বিষয়টি সম্পর্কে সেনাবাহিনী অবগত ছিল না। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত তাকে (সাবেক সংসদ সদস্য) পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে উদ্যোগ নেয়।’’

সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‘বর্তমানে আবদুল আজিজ সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।’’

উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা মোটর এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ডা. আজিজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাড়াশ থানায় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার দায়ের করা ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় আজিজসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯৯ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর স র জগঞ জ দ ল আজ জ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী