বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে টঙ্গী সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফকে (২০) হত্যাচেষ্টার মামলায় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

এর আগে শমী কায়সারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির তারিখ ঠিক করেন। বুধবার শুনানিকালে শমী কায়সারকে আদালতে হাজির করা হয়। আওয়ামী সরকারের সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী, এমপিকেও এদিন আদালতে হাজির করা হয়। তাদেরকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি করা হয়।

আদালতে আসামির ডকে দাঁড়িয়ে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সঙ্গে গল্প করে সময় পার করেন শমী কায়সার। এরই মাঝে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে ওঠানো ও নামানোর সময় মাথা নিচু করে ছিলেন শমী কায়সার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জুবায়ের হাসান ইউসুফ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মিছিলটি উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম কাঁধে লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন ইউসুফ। গত ২২ আগস্ট ১১ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী জুবায়ের হাসান ইউসুফ। এ মামলায় শমী কায়সার সন্দিগ্ধ আসামি।

গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারেই আছেন তিনি।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ইউস ফ জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ