রাজশাহীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
Published: 9th, April 2025 GMT
রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গার তালপুকুর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ছাত্রের নাম রেজওয়ান ইসলাম।
দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘রেজওয়ান নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার অটোরিকশা চালাত। গত ২৩ মার্চ ঠাকুরমারা থেকে পূর্ব পরিচিত পাপ্পুসহ পাঁচজনকে নিয়ে অটোরিকশাযোগে কাকনহাটে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় রেজওয়ানের পরিবারের পক্ষ থেকে পাপ্পুসহ পাঁচজনের নামে মামলা করে। পরে পুলিশ পাপ্পু, পিয়াস, মানিক, রাসেল ও রিপন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে।’’
‘‘গত সোমবার আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, অটোরিকশা ও ব্যাটারির জন্য রেজওয়ানকে হত্যা করেছেন তারা। পরে পাপ্পুর দেওয়া তথ্যমতে রেজওয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’- যোগ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনের পুকুরে কিশোরের লাশ
যুবককে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।