রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গার তালপুকুর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ছাত্রের নাম রেজওয়ান ইসলাম।

দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘রেজওয়ান নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার অটোরিকশা চালাত। গত ২৩ মার্চ ঠাকুরমারা থেকে পূর্ব পরিচিত পাপ্পুসহ পাঁচজনকে নিয়ে অটোরিকশাযোগে কাকনহাটে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় রেজওয়ানের পরিবারের পক্ষ থেকে পাপ্পুসহ পাঁচজনের নামে মামলা করে। পরে পুলিশ পাপ্পু, পিয়াস, মানিক, রাসেল ও রিপন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে।’’

‘‘গত সোমবার আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, অটোরিকশা ও ব্যাটারির জন্য রেজওয়ানকে হত্যা করেছেন তারা। পরে পাপ্পুর দেওয়া তথ্যমতে রেজওয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’- যোগ করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনের পুকুরে কিশোরের লাশ

যুবককে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ