ঈশ্বরদীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
Published: 9th, April 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাকের ধাক্কায় হান্নান মালিথা (৪০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা তালতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হান্নান মালিথা উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামের সৈয়দ আলী মালিথার ছেলে। তিনি পেশায় সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হান্নান ছলিমপুর মোড় থেকে মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক মোটরসাইলেকে ধাক্কা দিলে সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেল-ট্রলির সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
হবিগঞ্জে মাইক্রোবাসের চাপায় বৃদ্ধ নিহত
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’