চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এক অভাবনীয় পারফরম্যান্স উপহার দিলেন আর্সেনালের ডেকলান রাইস। এতেই ইতিহাসে নিজেকে অমর করে ফেললেন ইংলিশ এই মিডফিল্ডার। একই ম্যাচে দুটি ফ্রি-কিক গোলের বিরল কীর্তিতে জায়গা করে নিয়েছেন রোনালদো, নেইমার, রিভালদো ও হাকিম জিয়াশের পাশে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল। যেখানে ম্যাচের মূল নায়ক ছিলেন রাইস। ম্যাচের শুরুতেই ফ্রি-কিক থেকে চোখজুড়ানো এক বাঁকানো শটে গোলের সূচনা করেন তিনি, যা কোনোভাবেই ঠেকাতে পারেননি থিবো কোর্তোয়া। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেন তিনি। দুটি গোলেই কোনো জবাব ছিল না বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষকের।

এই কীর্তির মাধ্যমে রাইস হলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র পঞ্চম ফুটবলার, যিনি একই ম্যাচে দুটি ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছেন। তার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন রোনালদো, নেইমার, রিভালদো ও হাকিম জিয়াশ। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আগে কখনো কেউ এই কীর্তি গড়েননি। রাইসের জোড়া ফ্রি-কিকের পরও থেমে থাকেনি আর্সেনাল। ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন মিকেল মারিনো, বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে বল জড়ান পোস্টের কোণায়।  

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বাধিক ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া রিয়াল ম্যাচে নেমেছিল ফেভারিট হিসেবেই। কিন্তু লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে মুখ থুবড়ে পড়ে তারা। ফিরতি লেগের আগে এমন বিধ্বস্ত হওয়ায় চাপে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে চাইবে লস ব্লাঙ্কোসরা।

এই জয়ে ২০০৯ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আর্সেনাল। গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গেলেও এমন দাপুটে ফুটবল তারা দেখাতে পারেনি। এবার দৃশ্যপট বদলে গেছে দলটি আত্মবিশ্বাসী, ধারাবাহিক এবং ইতিহাস গড়ার দিকে এগোচ্ছে।  আর্সেনালের সামনে এখন সুবর্ণ সুযোগ প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট ছোঁয়ার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর স ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া