ঈদে ছয় সিনেমা মুক্তি পেলেও ‘জংলি’ সিনেমার গল্প বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। সিনেমাটি দেখে অনেকেই আবেগ ধরে রাখতে পাচ্ছেন না সে কথা বলছেন প্রকাশ্যেই। আরও প্রশংসিত হচ্ছে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের অভিনয়ের।

কিন্ত আপনি জানেন কি? এই ‘জংলি’ সিনেমায় কাজ করতে কোন পারিশ্রমিক নেননি নায়ক। বরং তাঁর পারিশ্রমিক তিনি সিনেমায় ইনভেস্ট করেছেন। বিষয়টি সিয়াম নিজেই নিশ্চিত করেছেন।  

সিয়াম আহমেদের ভাষ্য সেটা এমন, ‘আমরা যখন সিনেমাটা শুরু করছিলাম তখন আমি আমার পারিশ্রমিকের অংশটা নিয়ে নিলে বাজেট নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হত টিমকে। সিনেমাটা যাতে ভালো হয়, সেজন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি আমার পারিশ্রমিক না নিব না। পরে যদি সিনেমাটি থেকে লাভ হয় তখন আমি সেই লভ্যাংশ নেব।’

‘জংলি’ সিনেমার প্রযোজনার সঙ্গে আপনি যুক্ত আছেন কি না এমন প্রশ্নে সিয়ামের উত্তর, আমি আমার পারিশ্রমিক না নিয়ে সেটা সিনেমায় ইনভেস্ট করেছি।  

ঈদুল ফিতরে কম সংখ্যক শো নিয়ে মুক্তি পায় এম রাহিম পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘জংলি’। প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটির সবগুলো শো হাউজফুল যাচ্ছিল। তবে দর্শকদের কাছে তুমুল চাহিদা থাকলেও স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় শো কম থাকায় সিনেমাটি দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিল প্রতিনিয়ত। ‘জংলি’ টিম থেকে তাই বার বার শো বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে শো না বাড়ায় এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দর্শকদের  অনেকে লেখালেখিও করেন। মাঝে শো দুয়েকটি বাড়িয়েও আবার থমকে যায়। তবে সিনেমাটি মুক্তির এক সপ্তাহ পেরোতেই  স্টার সিনেপ্লেক্সেই দ্বিগুন শো বেড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি। 

এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমায় সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম এবং রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ঈদ র স ন ম কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ