ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান চীনের
Published: 9th, April 2025 GMT
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন। রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্র চায়না ডেইলির একটি সম্পাদকীয়তে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বর্তমানে চীনের রপ্তানিকারকদের ওপর শুল্কের হার ১০৪ শতাংশ। এর ফলে চীনা রপ্তানিকারকরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য এশীয় অর্থনীতির সাথে বেইজিংয়ের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে চায়না ডেইলিতে বলা হয়েছে, “বাণিজ্যিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক ঐক্য যেন জয়লাভ করতে পারে।
একটি পৃথক লেখায় ‘মুক্ত বাণিজ্য এবং বহুপাক্ষিকতা সমুন্নত রাখার’ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন বেইজিং “এই ধরনের আধিপত্যবাদী এবং গুন্ডামিমূলক আচরণের দৃঢ় বিরোধিতা করে এবং কখনই তা মেনে নেবে না।”
চীনের মন্থর অর্থনীতির জন্য ট্রাম্পের এই শুল্ক এক কঠিন সময়ে এসেছে। কারণ বর্তমানে চীনের অভ্যন্তরীন ব্যয় এখনো দুর্বল এবং রপ্তানি এখনো প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকাশক্তি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’