নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আটক মো.আহসানুল কবির (৩৮) রংপুর সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।  

আরো পড়ুন:

মাতামুহুরী নদীতে দুই শিশুর মৃত্যু, যুবকের লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রামে খালে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত কবির ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। ভুক্তভোগী শিশু মা-বাবার সঙ্গে পাশের ভাড়া বাসায় থাকে। শিশুটির বাবা-মা দুইজনই চাকরি করেন।

গতকাল কেউ না থাকায় বাসায় ঢুকে কবির শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে।  

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.

রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, “শিশুটি গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তার স্বজনেরা ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযুক্তও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”    

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, “অভিযুক্তকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আটক অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অপদস্থ বাবা, ছেলেকেও পিটিয়ে হত্যা

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অপদস্থ হওয়া বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে জাকির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিরিজপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। 

নিহত জাকির হোসেন ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হারুনুর রশিদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গনি মিয়া গং ও শাজাহান মিয়া গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে পিরিজপুর পয়েন্টে গনি মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া ও শাজাহান মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষ থামাতে স্থানীয় হারুনুর রশিদ নামে একজন এগিয়ে গেলে তাকে অপদস্থ করা হয়। তখন বাবাকে রক্ষায় তার ছেলে জাকির হোসেন দোকান থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর চড়াও হয়। তাদের মারপিটে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আহতদের মধ্যে তজিমুল মিয়া (৫৫), রুবেল মিয়া (২৭) ও উজ্জ্বল মিয়া (৩০) নামে ৩ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না মিয়া বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের জমিসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’’ 

রাতে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম।

ওসি বলেন, ‘‘ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নারী-পুরুষ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাম থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’’

ঢাকা/মামুন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ