প্রিমিয়ার লিগের তিন ক্লাবের চোখ রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো গোয়েসের দিকে। ম্যানচেস্টার সিটি একাধিকবার রদ্রিগোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। তবে রিয়াল ও রদ্রিগো ওই প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছেন। 

সংবাদ মাধ্যমে খবর, লিভারপুল রদ্রিগোকে কিনতে আগ্রহী। আগামী গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে লুইস দিয়াজকে ছেড়ে দিতে পারে তারা। এমনকি ডারউইন নুনিয়েজকেও বিক্রি করে দিতে পারে। ওই জায়গা পূরণে রদ্রিগো তাদের প্রথম পছন্দ। যদিও দলবদলের বাজারে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচে বরাবরই অনীহা রয়েছে অল রেডসদের। 

এবার সংবাদ মাধ্যম ফিকাজেস দাবি করেছে, প্রিমিয়ার লিগে সেরা চারের লড়াইয়ে থাকা চেলসি রদ্রিগো গোয়েসের জন্য ১২০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব প্রস্তুত করছে। লন্ডনের ক্লাবটির বিশ্বাস, আগামী গ্রীষ্মে তারা রদ্রিগোকে দলে ভেড়াতে পারবে। 

রিয়াল মাদিদে রদ্রিগো তার পছন্দের পজিশনে খেলতে পারেন না। তিনি মূলত লেফট উইঙ্গার। ওই পজিশনে মাঝে মধ্যে সুযোগ পেয়ে রিয়ালে ভালোও করেছেন তিনি। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কারণে লেফট উইঙ্গে খেলার সুযোগ পান না ব্রাজিলিয়ান নাম্বার টেন। আবার স্ট্রাইকার পজিশনে সুযোগ পাননা কিলিয়ান এমবাপ্পের কারণে। 

রদ্রিগোকে তাই খেলতে হয় একেবারের অপছন্দের পজিশন রাইট উইঙ্গে। কখনো তাকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও খেলানো হয়। অথচ ফুটবল বিশ্লেষকরা মনে করেন, রদ্রিগোর যে প্রতিভা ও টেকনিক্যালি তিনি এতো নিঁখুত যে ইউরোপের বড় কোন ক্লাবের প্রধান ফুটবলার হওয়া উচিত তার। ২০২৬ বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে রদ্রিগো রিয়াল ছাড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ