ডিপিএলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৫ রানে হারিয়েছে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। এই জয়ে গুলশান লিগে তিনে থেকে সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে। 

প্রশ্ন উঠেছে গুলশানের এই জয় নিয়ে। শাইনপুকুরের ব্যাটাররা ইচ্ছাকৃত আউট একটা ক্লাববে সুপার ফোরে উঠতে দেয়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। ডিপিএলের মান, ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও সবর। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস ও ডিপিএলে খেলা ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমানরা। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও থেকে দেখা যায়, শাইনপুকুরের এক ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে এসে বল খেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্টাম্পিং হন। তার ওই আউট নিয়ে প্রথম সন্দেহের আর্বিভাব। এরপর শেষ ব্যাটারও ডাউন দ্য উইকেটে আসেন। 

কিন্তু বোলার নাঈম ইসলাম ওয়াইড লাইনে বল করেন। শাইনপুকুরের শেষ ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন ক্রিজে ফিরে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পান। গুলশানের উইকেটরক্ষক দ্রুত বল ধরে স্টাম্প করতে পারেননি। এটা দেখে ব্যাটার মিনহাজুল পপিং ক্রিজে ব্যাট দিতে গিয়েও ব্যাট সরিয়ে আনেন এবং বাইরে ব্যাট ছোঁয়ান। তিনি আউট হলে হেরে যায় শাইনপুকুর। 

এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে শাহরিয়ার নাফিস কেবল ‘ছি’ শব্দটা লিখেছেন। নিন্দা জানাতে ওই একটা শব্দই যথেষ্ট ওজন বহন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজী গ্রুপের শামসুর রহমান লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি, শেইম!’ 

ম্যাচের ভিডিও দৃশ্যসহ দীর্ঘ এক পোস্টে ইমরুল কায়েস খিলেছেন, ‘মিডিয়া, ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার সবাই আজ একটা ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যে কাজটা হয়েছে, সেটা শুধু লজ্জাজনক না, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। একটা দলকে সুপার লিগে উঠতে না দিতে পরিকল্পিতভাবে আরেক মাঠে দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে! এই যদি হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলবে? কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা? লজ্জা! কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানায়।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল শ ইনপ ক র ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।

শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”

এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”

ঢাকা/আবিদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ