আজ থেকে সারা বিশ্বে কার্যকর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাল্টা শুল্ক’। এটি কার্যকর হওয়ার আগেই বিশ্বনেতারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, চেষ্টা করছেন শুল্ক কমাতে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘বিশ্বনেতারা এখন আমাকে ‘স্যার’ ‘স্যার’ করছেন। আমার পশ্চাদ্দেশে চুমু খাচ্ছেন। তারা আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে মরিয়া।’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। 

ট্রাম্প বলেন, ‘এসব দেশের নেতারা আমাদের ফোন করছেন। আমার পশ্চাদ্দেশে চুমু খাচ্ছেন। চুক্তি করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে পড়েছেন।’

হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নতুন শুল্ক কমাতে এরই মধ্যে ইসরায়েল চুক্তির চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করবেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।

৯ এপ্রিল থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলেও তা আলোচনা সাপেক্ষে কমানো যাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এ জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলো উল্লিখিত দেশের পথ অনুসরণ করতে পারে। তবে বিভিন্ন চুক্তির বিনিময়ে শুল্ক কতটুকু কমানো হবে, তা স্পষ্ট নয়। সূত্র: সিএনএন

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ