একটি সড়ক ও দুটি স্থাপনা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট ভাই শেখ রাসেলের নাম বাদ দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এসব নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে চসিক। বিষয়টি গতকাল বুধবার জানা যায়।

নাম পরিবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এর আগে গত ১৬ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ‘পতিত ফ্যাসিস্টের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে সিটি করপোরেশনের সড়ক, ভবন ও স্থাপনার নামকরণ’ পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এর পর স্থাপনার বিদ্যমান নাম পরিবর্তন এবং নতুন নামকরণের বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন।

সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চে নগরের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত বিমানবন্দর ও ভিআইপি সড়ককে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ সড়ক নামকরণ করা হয়েছিল। এটি এখন পরিবর্তন করে বিমানবন্দর সড়ক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের আমবাগানে শেখ রাসেল পার্ককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম পার্ক করা হয়েছে।

নগরের উত্তর কাট্টলীতে অবস্থিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হলেও এখনও নতুন নামকরণ করা হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর স্টেডিয়ামের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। সংস্কার ও মেরামত কাজ শেষ হলে নতুন নামকরণ করবে সিটি করপোরেশন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন মকরণ

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি

গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। 

প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।

হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”

আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ