ভোজনরসিকদের টানতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেয় রেস্তোরাঁগুলো। থাইল্যান্ডের একটি রেস্তোরাঁও নিয়েছে অভিনব কৌশল। তারা গ্রাহক কতটা কৃশকায়, তার ওপর মূল্যছাড় দিচ্ছে। এ জন্য রেস্তোরাঁয় ঢোকার মুখে রাখা হয়েছে জানালার মতো করে গ্রিল দিয়ে ফ্রেম। তবে সেই গ্রিলগুলোর মধ্যকার ফাঁকা জায়গা একেকটির একেক রকম। সেই গ্রিলের যত ছোট ফাঁকা গলে যে গ্রাহক রেস্তোরাঁয় যেতে পারবেন, তাঁর জন্য তত বেশি মূল্যছাড়।
উত্তর থাইল্যান্ডের এই রেস্তোরাঁর নাম চিয়াং মাই ব্রেকফাস্ট ওয়ার্ল্ড। প্রাতরাশের জন্য এটি বিখ্যাত। এতে বিশ্বমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এই অভিনব মূল্যছাড় নিয়ে নানা হাস্যরসের পাশাপাশি সমালোচনাও হচ্ছে।
রেস্তোরাঁটির ফটকে গ্রিলের সবচেয়ে ছোট ফাঁকা গলে যিনি উতরে যাবেন, তিনি সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্যছাড় পাবেন। পরের ফাঁকাটি আরেকটু প্রশস্ত। সেটা দিয়ে যেতে পারলে পাবেন ১৫ শতাংশ মূল্যছাড়। এভাবে যথাক্রমে ১০ ও ৫ শতাংশের আরও দুটি ক্যাটাগরি আছে। আর গ্রিলের এসব ফটক দিয়ে কেউ ঢুকতে না পারলে তাঁকে নিয়মিত ফটক দিয়ে ঢুকে নির্ধারিত দামে খাবার খেতে হবে।
রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করতে গিয়ে আমিনা নামের এক নারী ও অ্যালেক্স নামের এক পুরুষকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। তাঁদের সেই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা রেস্তোরাঁর এ উদ্যোগের পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
অনেকে মূল্যছাড়ের ব্যতিক্রমী এ পদ্ধতিকে স্রেফ মজা হিসেবে দেখছেন। অনেকে আবার সেটাকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন। তাঁদের মতে, মজার ছলে এখানে মানুষকে তাঁর শারীরিক আকৃতি নিয়ে ছোট করা হচ্ছে। সমাজে এর খারাপ প্রভাব পড়ছে।
ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ২০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ফটক দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁর উদ্দেশে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘আপনার কিছুটা মাখন দরকার।’ এরপর তিনি ১০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ফটক দিয়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে তিনি ৫ শতাংশের ক্যাটাগরি দিয়ে প্রবেশ করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফটক দ য়
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক