প্রথমবার ভারতের সিনেমায় ‘দুই চাক্কার সাইকেল’ গানের অমি
Published: 10th, April 2025 GMT
প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের সিনেমার প্লেব্যাক করছেন বাংলাদেশি গায়ক সৈয়দ অমি। জিৎ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘আড়ি’ সিনেমায় ‘মরুভূমি’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানটির কথা ও সুর লিংকন রায় চৌধুরীর, আর মিউজিক প্রোগ্রামিংয়ে ছিলেন কেডি। সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী ২৫ এপ্রিল। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন যশ ও নুসরাত জাহান।
টালিউড সিনেমায় সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সৈয়দ অমি। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ১৮ মার্চ গানটির ভয়েস পাঠাই। তবে কাউকে বলিনি। গতকাল বুধবার সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর ব্যাকগ্রাউন্ডে গানটি শুনে নিশ্চিত হই, সিনেমায় আসছে। লিংকন দাদাও আমাকে জানিয়েছেন, গানটি টিমের সবাই পছন্দ করেছেন।’
‘আড়ি’ সিনেমায় এক মা ও ছেলের গল্প ওঠে আসবে। যেখানে মা চরিত্রে দেখা যাবে মৌসুমী চ্যাটার্জিকে। ছবিতে তাঁর ছেলের চরিত্রে রয়েছেন যশ। ছবিটি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে যশ ও নুসরাতের প্রযোজনা সংস্থা ওয়াইডি ফিল্মস।
সৈয়দ অমি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল