রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মো. তাফসির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বসুন্ধরা আবাসিকের ওই বাসা থেকে ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাফসির পেশাদার মাদক কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য।  

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল)  বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাফসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া থেকে জানানো হয়, বুধবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক নারীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ।  মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী তাফসিরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরবর্তিতে রেকর্ডপত্র যাচাই করে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করেন যে তিনি একজন পেশাদার মাদক কারবারি। তার বাসার একটি কক্ষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রয়েছে। 

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও দেখানো মতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসার ৬ষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। 

ভাটারা থানা সূত্র জানায়,  উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ এই গাঁজা তাফসির বিক্রির উদ্দেশে নিজ হেফাজতে রেখেছিলেন মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

ঢাকা/এমআর/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে মা-ছেলের কবর, সেই দৃশ্য কাঁদাচ্ছে এলাকার মানুষকে

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কেনেন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সেটি চালিয়ে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন জিয়া উদ্দিন (২৭)। সঙ্গে ছিল তাঁর এক চাচাতো ভাই। পথে নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জিয়া উদ্দিনের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (১৬)। জিয়া উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৩), মেয়ে মাহমুদা কায়সার (৮) ও ছেলে মানারুল ইসলামকে (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম।

গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট এলাকায় ঘটে এই সড়ক দুর্ঘটনা। এরপর রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম মারা যান। জিয়া উদ্দিন উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর এলাকায়।

আহত জিয়া উদ্দিনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জিয়া উদ্দিনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মেয়ে মাহমুদা কায়সারের অবস্থাও শঙ্কাজনক। এর মধ্যেই তিনজনের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে পারিবারিক কবরস্থানে। পাশাপাশি খোঁড়া হয়েছে ফারজানা আক্তার ও তাঁর ছেলে মানারুলের কবর।

কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বামন সুন্দর এলাকার মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা-ছেলের জন্য পাশাপাশি কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখ সিক্ত হচ্ছে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় পুত্রবধূ, নাতিসহ পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি করছেন বিবি হালিমা। আজ সকালে

সম্পর্কিত নিবন্ধ