এবার পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা স্থগিত করল ইইউ
Published: 10th, April 2025 GMT
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক প্রয়োগ স্থগিত করার ঘোষণার পর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচ্চ আমদানি শুল্কের কার্যকরের বিষয়ে ৯০ দিনের বিরতি ঘোষণার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার সুযোগ দিতে চায়।
ইইউ কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাল্টা শুল্ক তিন ধাপে প্রবর্তিত হওয়ার কথা ছিল:
প্রথম ধাপে ১৫ এপ্রিল থেকে ৪.
১৫ মে থেকে দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য শুল্কের আওতায় আনার কথা ছিল।
তৃতীয় ধাপে পহেলা ডিসেম্বর থেকে অতিরিক্ত ৩.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ছিল।
সূত্র: বিবিসি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’