স‌রকা‌রি নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, বিদেশে চাকরির বিষয়ে ভুয়া প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে এক‌টি সংঘবদ্ধ চক্র। এ বিষ‌য়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রতারণার ফাঁদে কেউ যেন ফেঁসে না যান, সে বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করার জন্য বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদায়ন আদেশের নকল বানিয়ে কর্মকর্তার সই জাল করে ভুয়া স্মারক বসিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করছে একটি প্রতারক চক্র।

আরো পড়ুন:

৩২ ওমরাহ যাত্রীর ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে উধাও এজেন্সি পরিচালক

ফেইথের ‘ফাঁদে’ ফতুর প্রবাসী চান পরিত্রাণ

সতর্কীকরণ বার্তায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব নিয়োগ, পদায়ন, বদলি-সংক্রান্ত আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির (জিইএমএস) মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের কোনো প্রজ্ঞাপন যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে করা যেতে পারে।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই সরকারি সংস্থার নামে ভুয়া প্রজ্ঞাপন জারির একটি ঘটনা আলোচনায় আসে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট ও সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল একটি প্রতারক চক্র। একই ধরনের আরো কিছু ভুয়া প্রজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায় সম্প্রতি। এসব প্রজ্ঞাপনের টার্গেট থাকে প্রতারণার মাধ্যমে বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।  

তখন বোয়েসেলের মহাব্যবস্থাপক নূর আহমেদও সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছিলেন, বোয়েসেলের সুনাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, যারা জীবন জীবিকার জন্য বিদেশ যেতে আগ্রহী, তাদের ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রজ্ঞাপনের প্রবণতা বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার সবাইকে সতর্ক করল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ