শিশুর গলায় কিছু আটকে গেলে দ্রুত দুইটি কাজ করতে পারেন
Published: 11th, April 2025 GMT
খাবার খাওয়ার সময় শিশুর গলায় খাবার আটকে যেতে পারে। আবার অনেক সময় ছোট ছোট খেলনা, পয়সা, বা অন্য কোনো জিনিসও শিশু গিলতে গিয়ে গলায় বাঁধিয়ে ফেলতে পারে। এই অবস্থায় অস্থির না হয়ে পর পর দুইটি কাজ করা জরুরি।
সাব্বির আহমেদ, পোস্ট ডক্টরাল সাইন্টিস্ট একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘খাবার খাওয়ার সময় অনেক সময় শিশুদের গলায় খাবার আটকে যায়। মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। শিশুকে প্রথমে এক হাতের তালুতে উপুর করে নিতে হবে। মাথাটা যেন একটু নিচের দিকে থাকে। তারপর আরেক হাতের তালু দিয়ে শিশুর পিঠে কয়েকবার চাপ দিতে হবে। এভাবে চাপ দেওয়াকে বলা হয় ‘Back Blow’। ব্যাক ব্লো এর ফলে শিশুর ফুসফুসে ভাইব্রেশন এবং বা কম্পন সৃষ্টি হয়। যার ফলে খাদ্যনালীতে আটকে যাওয়া জিনিসটা বের হয়ে আসতে পারবে।’’
আরো পড়ুন:
কীভাবে বুঝবেন শিশু অটিজমের লক্ষণ বহন করছে
সন্তান যেন সুখী হয়
বুকের মাঝ বরাবর চাপ দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
সাব্বির আহমেদ আরও বলেন,‘‘পাঁচ বার ব্যাক ব্লো দেওয়ার পরে যদি ভেতরে আটকে যাওয়া জিনিসটি বের হয়ে না আসে, তাহলে আরেকটি কাজ করতে হবে। শিশুকে চিৎ করে তারপরে দুই আঙুল দিয়ে শিশুর বুকের মাঝ বরাবর প্রেসার দিতে হবে। এটা করতে ফুসফুসের ভেতরে যে বাতাস থাকে সেই বাতাসটা উপরের দিকে একটা চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ভেতের আটকে থাকা খাবার বা জিনিস বের হয়ে আসবে।’’
চার পাঁচ বার বুকে চাপ দেওয়ার পরেও যদি আটকে যাওয়া জিনিস বের হয়ে না আসে, তাহলে দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।