চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এক তরুণীকে (১৯) ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে করা মামলার আসামি নাজিম উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাজিম উদ্দিন সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া এলাকার মৃত সৈয়দ আহমদ ও রুকিয়া বেগমের ছেলে। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.

রাসেল প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ।

গত মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে চন্দনাইশে নানার বাড়ির শৌচাগার থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘরের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর নানা-নানিকেও উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, গত বুধবার রাতে নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাজিম উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ