‘আমি এখন পথের ফকির, আগুনে আমার কপাল পুড়ছে’
Published: 11th, April 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মুন্সিরহাট বাজারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৪টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের। তাঁরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা দাবি করেছেন।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের দোকানি আলম হাওলাদারের ‘আলম স্টোর’ নামের দোকানে আগুনের সূত্রপাত। পরে তা পাশের মুক্তার প্রধানীয়ার ‘মুক্তার এন্টারপ্রাইজ’, কিশোর শীলের সেলুন, শম্ভুনাথ মজুমদারের ‘মজুমদার ফার্মেসি’, মাসুদ খানের ‘কুমিল্লা মিষ্টান্ন ভান্ডার’, ফখরউদ্দিন ফরহাদের ‘হক ফার্মেসি’, গণেশ ভৌমিকের ‘ঝর্ণা শিল্পালয়’, অনিল চন্দ্রের ‘কামনা ফার্মেসি’, নবীর হাজরার ‘নবীর হার্ডওয়্যার’, বিল্লাল হোসেনের ‘বিল্লাল স্টোর’, ফরিদ প্রধানীয়ার ‘এসএস এন্টারপ্রাইজ’, মনির প্রধানীয়ার ‘মনির স্টোর’সহ আরও দুজন দোকানির প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্রগুলো থেকে আরও জানা যায়, খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাঁরা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী গণেশ ভৌমিক বলেন, অনেক কষ্ট করে সোনার দোকানটি করেছিলেন। আগুনে সব পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় তাঁর প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন তিনি নিঃস্ব। সব মিলিয়ে দোকানিদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
বিল্লাল স্টোরের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এনজিও থেকে ঋণ নিয়া এবং স্বজনদের কাছ থেকে ধার কইরা দোকানটি করছিলাম। আগুনে সব পুইড়া গেল। এই দোকানের আয়েই আমার সংসার চলত। এহন সংসার চলব ক্যামনে। আবার দোকান করুম ক্যামনে। আমি এখন পথের ফকির। আগুনে আমার কপাল পুড়ছে।’
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, মোট পাঁচটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের সহায়তার চেষ্টা করবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শুঁটকিপল্লির ব্যস্ত সময়
২ / ৮টুকরি থেকে মাছগুলো ঢালা হচ্ছে