মেহেরপুরের গাংনীতে বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ লাল্টু বিশ্বাস (৪০) নামের একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর ধলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটক লাল্টু বিশ্বাস ওই গ্রামের প্রয়াত আক্কাস আলীর ছেলে। 

সেনাক্যাম্পের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, লাল্টু বিশ্বাস দুই ভাই ভিন্ন ঘটনায় মারা যায়। এ কারণে বিদেশি পিস্তল দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতো। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে লাল্টু চাঁদাবাজি করতো। আজ সকালে ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন রওশন আলম ও লেফটেন্যান্ট মিনহাজের নেতৃত্বে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর ধলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, লাল্টু বিশ্বাস নিজ বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে ৭ দশমিক ৬৫ এমএম সাইজের একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন এবং তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প স তলসহ গ র প ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ