মেহেরপুরে বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ আটক ১
Published: 11th, April 2025 GMT
মেহেরপুরের গাংনীতে বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ লাল্টু বিশ্বাস (৪০) নামের একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর ধলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক লাল্টু বিশ্বাস ওই গ্রামের প্রয়াত আক্কাস আলীর ছেলে।
সেনাক্যাম্পের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, লাল্টু বিশ্বাস দুই ভাই ভিন্ন ঘটনায় মারা যায়। এ কারণে বিদেশি পিস্তল দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতো। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে লাল্টু চাঁদাবাজি করতো। আজ সকালে ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন রওশন আলম ও লেফটেন্যান্ট মিনহাজের নেতৃত্বে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর ধলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, লাল্টু বিশ্বাস নিজ বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে ৭ দশমিক ৬৫ এমএম সাইজের একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন এবং তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প স তলসহ গ র প ত র
এছাড়াও পড়ুন:
তেহরান থেকে এক কোটি মানুষ কীভাবে সরে যাবে
ইরানের রাজধানী তেহরান ছাড়ার চেষ্টা করছেন অনেক মানুষ। তবে গত কয়েক দিনের মতোই তেহরানের রাস্তাঘাট এখনো যানজটে ঠাসা।
বিবিসি পার্সিয়ানের প্রতিবেদক ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ জানান, তিনি এমন একটি পরিবারকে চেনেন, যারা তেহরান থেকে রওনা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছে ১৪ ঘণ্টা পর। অথচ এই যাত্রাপথ সাধারণত তিন ঘণ্টায় শেষ হওয়ার কথা।
এত সময় লাগলেও শেষ পর্যন্ত তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পারায় পরিবারটি নিজেদের ‘ভাগ্যবান’ মনে করছে।
পরিবারটির সদস্যদের ভাষায়, ‘ভাগ্যক্রমে’ শেষ পর্যন্ত তাঁরা তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
তেহরানের বাসিন্দাদের আরও অনেকেই এমন কথা বলেছেন। তাঁরা রাজধানী থেকে বেরিয়ে আসতে পেরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে তাঁদের অনেকে আবার উদ্বিগ্ন প্রিয়জনদের নিয়ে, যাঁরা এখনো তেহরান ছাড়তে পারেননি।
বিবিসির এই সাংবাদিক গত রাতে তাঁর এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি তেহরান ছাড়তে পেরেছেন কি না।
জবাবে বন্ধু বলেন, ‘রাস্তা একেবারে আটকে আছে। এখন বেরোলে শুধু যানজটে আটকে থাকতে হবে। আর এই সময়ে তা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
প্রথমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেহরানের একটি অংশের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সবাইকে তেহরান ছেড়ে যেতে হবে।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার নজিরবিহীন সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। উভয় পক্ষ আকাশপথে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন।
তেহরানে তখন ভোর সাড়ে চারটা বাজে। তবু বহু মানুষ তখনো জেগে ছিলেন।
সাংবাদিক ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ যে ইরানি গ্রুপ চ্যাটগুলোতে আছেন, সব কটিই এখন রূপ নিয়েছে রাজনৈতিক আলোচনার জায়গায়। সঙ্গে কোথায় কোথায় হামলা হচ্ছে, তা জানানোর প্ল্যাটফর্মও হয়ে উঠেছে সেগুলো।
একটি চ্যাট গ্রুপে একজন লিখেছেন, ‘আমি একদম বিধ্বস্ত-শরীরেও, মনেও। টানা চার রাত ঘুমাইনি।’
চ্যাট গ্রুপে আরেকজন জিজ্ঞেস করেছেন, ‘তেহরান থেকে এক কোটি মানুষ কীভাবে সরে যেতে পারে?’
এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আসেনি।