আবার সেই জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। চেনা প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময় দেবে।

তবে অনেকেই মনে করছেন সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য সহজ হতে যাচ্ছে। আর এই ভাবনাতেই আপত্তি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের।

নাজমুল এখন ব্যস্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। তিনি আবাহনীর হয়ে খেলছেন। কাল ঐতিহ্যের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ, এবার তা হতে পারে লিগ নির্ধারণীও। এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে এসে বাংলাদেশ ও আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের কাছে এসেছিল জিম্বাবুয়ের প্রসঙ্গ।

কথার এক ফাঁকে তিনি অনুরোধ করেছেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে যেন অন্য দলগুলোর তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা না হয়। এ বিষয়ে নাজমুল বলেন, ‘আমরা যেন ভাগাভাগি না করি যে, জিম্বাবুয়ে বা অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা.

.. প্রতিটি ম্যাচকে যেন একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে চিন্তা করি।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপের কথা উল্লেখ করে নাজমুল বলেন, ‘প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এখানেও অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। এর ভিন্ন কোনো চিন্তা থাকবে না। একটি বড় দলের সঙ্গে খেলার সময় যেই চিন্তাভাবনা বা চাপ থাকে, সেই চাপটাই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কীভাবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচটা শুরু করতে পারি। কোনো দলই ছোট নয়, আমি বারবারই বলছি। ক্রিকেটাররাও এমন কিছু চিন্তা করছে না। আমি আশা করব, সাধারণ মানুষ বা মিডিয়াও এভাবে দেখছে না যে ছোট দল বা বড় দল। আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’

ক্রিকেটাররা অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রস্তুতির জন্য যদি আরও ২-১ দিন বেশি পেতাম তাহলে আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো হতোনাজমুল হোসেন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের প্রস্তুতির জন্য তা কিছুটা দেরি হচ্ছে। দিন দশেকের প্রস্তুতির কথা থাকলেও তা এখন নেমে এসেছে সপ্তাহখানেকে। প্রায় ছয় মাস পর টেস্ট খেলতে নামা বাংলাদেশের কি আরেকটু বাড়তি সময় প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল?

আরও পড়ুনপিএসএলে কি আজ অভিষেক হবে রিশাদের২ ঘণ্টা আগে

অধিনায়ক নাজমুল বলছেন, ‘ক্রিকেটাররা অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রস্তুতির জন্য যদি আরও ২-১ দিন বেশি পেতাম তাহলে আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো হতো। একই সঙ্গে এটাও বলব, আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে দর্শকদের অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকে, এই ম্যাচটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ক্রিকেটাররা যারা দলে সুযোগ পেয়েছে, তারা কিন্তু এরই মধ্যে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে যে কীভাবে আমি খেলাটা খেলতে চাই।’

আগামী ১৫ এপ্রিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হবে প্রথম ম্যাচ।

আরও পড়ুন‘বড় বড় নাম’ নিয়ে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে০৮ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ত র র প রস র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ