ফতুল্লার ডিআইটি মাঠের বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৩দিন ধরেই  ঐতিহাসিক এ মাঠে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো ফতুল্লা। সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে বক্তাবলী, কাশীপুর থেকে শুরু করে পাগলা, সব এলাকাতেই জোরেসোরে চলছে প্রচারণা। 

সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে  শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামিকাল সকালের মধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। গত দু’দিন ধরেই আমরা মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করছি। আজকে প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা এখানে এসে। 

আমরা আশাবাদী আগামিকালের সমাবেশ একটা ইতিহাস রচনা করবে ফতুল্লা মাটিতে। এ সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হবে। নেতাকর্মীদের মনে আনন্দ-উৎসব বিরাজ করছে। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরাই নয়, এ সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। 

ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, এ সমাবেশের মাধ্যমে আমরা একটা বিষয় বুঝতে পেরেছি, গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেও আমাদের নেতাকর্মীরা নিস্তেজ হয়ে যায়নি। তারা আগের চেয়ে বেশী উজ্জীবিত। শুধু আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমাবেশে আসার জন্য প্রতিটি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

এতে করে বুঝা যায় সাধারন মানুষের মনে বিএনপি এবং এই জনসভা নিয়ে পজিটিভ সাইন আছে। আশাকরি আগামিকালের সমাবেশ পুরো জেলায় একটা ইতিহাস রচনা করবে।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন ত কর ম র ব এনপ র স প রস ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ