বাংলাদেশে পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে ‘জিজ পে ডটকম’। কর্তৃপক্ষে দাবি, এটি হতে যাচ্ছে নিরাপদ, ঝামেলাবিহীন ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক লেনদেন অভিজ্ঞতার প্লাটফর্ম। উদ্ভাবন, গতিশীল ও ব্যবহারকারীর সমস্যা সমাধানকে সামনে রেখে ‘জিজ পে’ দেশে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চায়।
উচ্চ প্রযুক্তিতে সজ্জিত ‘জিজ পে’ রিয়েল-টাইম পেমেন্ট প্রসেসিং, উন্নত প্রতারণা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ইন্টিগ্রেশন, এআই-চালিত বিশ্লেষণ, মাল্টি-কারেন্সি সাপোর্ট এবং সব ধরনের ব্যবসার জন্য সহজ অনবোর্ডিং-এর মতো বিস্তৃত সেবা প্রদান করবে। যে কোনো ছোট অনলাইন স্টোর কিংবা বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের পেমেন্ট প্রয়োজনে ‘জিজ পে’ হতে যাচ্ছে গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।
এই প্ল্যাটফর্মটি সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন নিশ্চিত করবে, যা গ্রাহক ও ব্যবসা উভয়ের জন্য অতুলনীয় নিরাপত্তা প্রদান করবে। এর ভবিষ্যতমুখী ড্যাশবোর্ড ব্যবহারকারীদের রিয়েল-টাইমে লেনদেন পর্যবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং অপ্টিমাইজ করার সুযোগ দেবে— যা বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য একটি বড় অগ্রগতি।
আসন্ন উদ্বোধন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জিজ পে ডটকম’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল আলিম চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করছি জুন থেকে অফিসিয়ালি শুরু করতে পারবো। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো বাংলাদেশি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে— সর্বোত্তম পারফরম্যান্স এবং উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে।
এই জুনে অফিসিয়াল রোলআউট প্রত্যাশিত হওয়ায় প্রযুক্তিপ্রেমী, ব্যবসায়ী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। জিজ পে ডটকমের বাজারে প্রবেশকে বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্ট অবকাঠামোকে ত্বরান্বিত করার একটি সাহসী এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যেহেতু ডিজিটাল অর্থনীতি ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে, জিজ পে ডটকমের আগমন একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে— যা দক্ষতা, বিশ্বাস এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ম ন ট গ টওয় ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।