কক্সবাজারের চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় রেলসেতু থেকে খালে পড়ে এক গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পঁহরচাদা গোবিন্দপুর-বিএমচর রেল সংযোগ সেতুতে ঘটনাটি ঘটে।

নিখোঁজ ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল জব্বার (৫০)। তিনি পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার আহসাব মিয়ার ছেলে।

চকরিয়া থানার ওসি মো.

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‍“আব্দুল জব্বারসহ তিনজন ব্যবসায়ী দুপুরে গরু নিয়ে রেলসেতু পার হচ্ছিলেন। এসময় কক্সবাজারমুখী একটি ট্রেনের ধাক্কায় আব্দুল জব্বার ব্রিজ থেকে খালের পানিতে পড়ে যান। অপর দুইজন অক্ষত আছেন।”

আরো পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

তিনি আরো বলেন, “স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে আব্দুল জব্বারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়।”

নিখোঁজের স্বজন ও স্থানীয়রা রাতেও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান ওসি।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ