৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর আবাহনীকে হারাল মোহামেডান
Published: 12th, April 2025 GMT
পেসার ইবাদত হোসেনের বলে রিপন মণ্ডলের ক্যাচটা নিলেন আরিফুল ইসলাম। মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা মাতলেন জয়ের উল্লাসে। ম্যাচটা যখন আবাহনী–মোহামেডান, এমন দৃশ্য দেখা গেল অনেক বছর পর।
আবাহনী–মোহামেডান মুখোমুখি হওয়ার মানেই ঐতিহ্য ও রোমাঞ্চের গল্প। তবে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ গত কয়েক বছরে হয়ে গিয়েছিল একপেশে। ২০১৬ সালের পর থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনী–মোহামেডান ম্যাচ মানেই ছিল আবাহনীর জয়।
৯ বছর আর ১১ ম্যাচ পর অবশেষ পাল্টাল গল্পটা। মিরপুরে আজ আবাহনীকে ৩৯ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। এই জয়ে প্রথম পর্বটা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেই শেষ করল মোহামেডান।
মোহামেডানের জয়ে আনিসুল ইসলামের কৃতিত্বই সবচেয়ে বেশি—বেশিরভাগ ম্যাচেই বেঞ্চে বসে থাকা এই ওপেনার এবারের লিগে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১১৮ বলে ১১৪ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটিতে মোহামেডানকে ২৬৪ রানের সংগ্রহে ভিত গড়েছেন আনিসুর। ৫০ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা আনিসুল ম্যাচের পর প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেষ্টা করেছি সহজাত ক্রিকেট খেলার। আবাহনীর সঙ্গে মারতে পারায় সেঞ্চুরিটা একটু বেশি স্পেশাল। জিততে পারায় আরেকটু বেশি ভালো লাগছে, হেরে গেল হয়তো এটা তেমন কাউন্ট হতো না।’
সেঞ্চুরির পর মোহামেডানের আনিসুল ইসলাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’