১৫ সাঁতারুর কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি
Published: 12th, April 2025 GMT
কক্সবাজারে কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ১৫ জন অভিজ্ঞ সাঁতারু। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে আয়োজিত এ চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন আন্তর্জাতিক সাঁতারু দি সি হর্স সাইফুল ইসলাম রাসেল।
সাইফুল ইসলাম রাসেল ‘ওসেনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর ৪র্থ স্থান অধিকারী এবং এর আগে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দেন।
বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং (বিওডব্লিউএস) এর আয়োজনে ‘কুতুবদিয়া চ্যানেল সুইমিং ২০২৫’ প্রতিযোগিতা শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট থেকে সাঁতারুদের যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হয় দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ঘাটে। সাঁতার প্রতিযোগিতার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৪ কিলোমিটার।
আরো পড়ুন:
শামুক সংগ্রহে গিয়ে নদীতে ২ জনের মৃত্যু
মাতামুহুরী নদীতে দুই শিশুর মৃত্যু, যুবকের লাশ উদ্ধার
প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিওডব্লিউএস-এর উপদেষ্টা শিমুল চৌধুরী। এ সময় পরিবেশ বিষয়ক সংগঠক ও পেকুয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাঁতারুদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, ‘‘নিরাপদ ও মুক্ত সাঁতার চর্চার জন্য এই ধরনের আয়োজন নিয়মিত করা হবে।’’
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’